লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এবার অনুব্রত মন্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমে ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শতাব্দী রায়কে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কি হয়েছে? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন প্রতিবেদনটি।
আরও পড়ুনঃ পার্থ-অনুব্রত চুনোপুঁটি! এবার শেখ শাহজাহানের টাকার পাহাড় পেল ইডি
এমনিতেই দেশজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার তুঙ্গে রয়েছে। সেইসঙ্গে আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলাও। জায়গায় জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের চলছে প্রচার। কিন্তু বীরভূমে গিয়ে যে তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায় গ্রামবাসীদের এমন বিক্ষোভের মুখে পড়বেন সেটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেননি। বিদায়ী সাংসদের গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘যার বউ দেখতে সুন্দর সে পাবে প্রকল্পের টাকা, যার বউ দেখতে সুন্দর নয় সে পাবে না। আমাদের বলেছে।’ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর
আসলে বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ব্লকের পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের লাউজোড়া গ্রামের বহু মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, যারা পার্টি করছে তারা নাকি টাকা পাচ্ছে, অথচ গ্রামের গরিব মানুষেরা কোনও টাকা পাচ্ছে না। কেউ আবার ঘরবাড়ি পাচ্ছে না। এও বলা হচ্ছে যে সুন্দরী বউ হলে তবে টাকা মিলবে নইলে নয়। শতাব্দীর গাড়ি থামিয়ে স্থানীয়রা জানান, সমস্ত সুযোগ সুবিধা পায় তৃণমূল কর্মীরা এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্যে কিছুই জোটে না। আবার অনেকেই বলছেন, ভোট নিলে টাকা দিতে হবে। ভোটের মুখে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই বীরভূমজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বড় দাবি করল বিজেপি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি মুখপাত্র ধ্রুব সাহা মমতা-বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূল এই ধরনের সত্যিকারের ঘটনা থেকে মানুষের মনকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। এটা ঠিক যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রাম এখন সন্দেশখালি হয়ে গেছে।”