আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন! গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

Published on:

canning rape and murder case

ক্যানিংঃ সবাই চায় তাঁর নিজের একটা বাড়ি হোক। জায়গা থাকলেও অনেকেরই সামর্থ্য হয়ে ওঠেনা। আর এর জন্যই ২০১৫ সালে ২৫ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্প শুরু করেছেন। ৯ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ তাঁর নিজের ঘর পেয়েছেন। গোটা ভারত তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও চলছে এই প্রকল্প। তবে বাংলায় এসে বারবার ধাক্কাও খেতে হয়েছে এই প্রকল্পকে।

আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ধর্ষণ, খুন

WhatsApp Community Join Now

আসলে, বাংলা থেকে আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকি কদিন আগে খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্যানিংয়ের এক ঘটনায় হাইকোর্টে স্বীকার করেছিল যে, আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে। আর এবার সেই ক্যানিংয়েই হয়ে গেল এক বীভৎস কাহিনী। সেখানে গরিব মহিলাকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং বাজারের দেবদাস নামের এক লজে এক মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেবদাস লজে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি উধাও হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে যে, মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়তেই সে পালায় সেখান থেকে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মহসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সেই এলাকার তৃণমূলে পঞ্চায়েত প্রধান মহসিনকে নিজের দলের লোক বলেই স্বীকৃতি দেন। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, ওই মহিলার সঙ্গে লজে ঢুকেছিল মহসিন মোল্লা। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ক্যানিং থানার গোবরামারি এলাকায় বাড়ি ওই মৃত মহিলার।

গুরুতর অভিযোগ মৃতার মেয়ের

মৃতার মেয়ে দাবি করেন যে, আবাস যোজনার তালিকায় আমাদের নাম আসেনি। ওই তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার নামে মাকে ক্যানিং ডেকেছিল মহসিন মোল্লা। এরপর মাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে সে। মৃতার মেয়ের আরও দাবি, মাকে খুন করে সোনার গয়না, ৫০ হাজার টাকা ও বাড়ির দলিলও নিয়ে পালিয়েছে মহসিন মোল্লা।

ওদিকে ধৃত মহসিন মোল্লা নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে। মহসিনের স্ত্রী জানিয়েছেন যে, মৃত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মহিলা নিজের ইচ্ছেতেই লজে গিয়েছিলেন। আবাসের নাম করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, স্বামী দোষী হলে অবশ্যই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হোক।

সঙ্গে থাকুন ➥
X