প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হুগলির খানাকুলে (Khanakul) প্রকাশ্যে এল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। রাস্তার মধ্যেই গণধোলাই খেতে জল এক তৃণমূল কর্মীকে। প্রায়শই দেখা যায় কখনও শাসকদলের বিরুদ্ধে তো কখনও আবার বিরোধীদলের বিরুদ্ধে পরস্পরের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠে আসে। এমতাবস্থায় এবার খানাকুলে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে এল। সেক্ষেত্রে TMC খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নির্দেশেই এই মারধর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
প্রকাশ্যে গণধোলাই তৃণমূল নেতাকে
টিভি ৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, রাতে হুগলির খানাকুলে তৃণমূলের মাড়োখানার অঞ্চল সহ সভাপতি বরুণ মন্ডলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, জনরোষের মুখে পড়ে অত্যাধিক মারধরের ফলে গুরুতর আহত হন তৃণমূলের এই সক্রিয় কর্মী। তড়িঘড়ি দলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে খানাকুল গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এদিন আহত তৃণমুল নেতা সহ খানাকুলের অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের দাবি, এদিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি মিথ্যা অভিযোগও নাকি নিয়ে আসা হয়।
কী কারণে এই ঘটনা?
খানাকুলে এইরূপ গণপিটুনির নির্দেশ নাকি দিয়েছিলেন খানাকুলেরই বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, এমনই অভিযোগ তোলে এদিন তৃণমূলের একাংশ। এবং এই মারধরের কারণ স্বরূপ শাসকদল জানিয়েছে যে, এলাকায় বরুণ সবসময় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে এসেছে তাই এই অপরাধেই আক্রমণ করা হয়েছে তাঁকে। তবে বিজেপির দাবি অন্য। তাঁরা জানিয়েছেন যে, ওইদিন নাকি স্থানীয় মহিলাদের উপর মদ্যপ অবস্থায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন বরুণ।
আরও পড়ুন: ‘কৃষকের উন্নয়নের নামে ভণ্ডামি!’ পূর্বস্থলীর কিষাণ মান্ডি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ বিজেপির
খানাকুলের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে নির্যাতিতা দুই নাবালিকা। তাদের দাবি, চুল ধরে নাকি টানা হয়েছে। তারপরই মারধর করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। যদিও তৃণমূল দাবি করছে, মারধরের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ওই নাবালিকা মহিলাদের ব্যবহার করছে বিজেপি। এর ফলে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষই রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শুধু তাই নয় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।