প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস আগে অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেল থেকে জামিন পেয়েছে। আর জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বীরভূম জেলায় ফেরার পর থেকে আরেক তৃণমূল নেতা কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে এক ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। আর তারপরেই একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে আর এই আবহে আরও একবার উত্তপ্ত বীরভূম। ফের খুন হলেন এক তৃণমূল (TMC) নেতা। একা পেয়ে বাইক থেকে নামিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে বড়রা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ নিয়ামুল। সেই সময় আচমকা গ্রামের গরিব পাড়া সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতি নিয়ামুলের উপর হামলা চালায়। নিয়ামুলের বাইক দাঁড় করিয়ে তাঁকে নামিয়ে পাথর ও লোহার রড-সহ একাধিক ভারী বস্তু দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি ভারী পাথর দিয়ে নিয়ামুলের মাথা থেঁতলেও দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারান নিয়ামুল।
হাসপাতালে যাওয়ার আগেই রাস্তায় মৃত্যু নেতার
এদিকে নিয়ামুলকে খুঁজে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। আর সেই নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকড়তলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিয়ামুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থা ধীরে ধীরে সংকটজনক হয়ে যায়। যার ফলে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাতের অন্ধকারে এইভাবে হত্যাকাণ্ড দেখে রীতিমত বড়রা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে বীরভূম জেলা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
নিয়ামুলের মৃত্যুর তদন্ত করতে ময়দানে নেমেছে কাঁকড়তলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। নিয়ামুলের দাদা এনামুল শেখের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলের ঊজ্জ্বল কাদেরির সঙ্গে থাকেন। সেই আক্রোশে কালো গোষ্ঠী তাঁর ভাইকে আক্রমণ করে। কালোর বাড়ির সামনে একটি লোহার আড়তের কাছেই তাঁর ভাইকে খুনের চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্ত গোষ্ঠী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল বলেও দাবি করেছেন এনামুল।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |