প্রীতি পোদ্দার, পূর্ব বর্ধমান: ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। তার উপর তো SIR রয়েছেই প্রতিদিনই প্রায় এই নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তরজা হয়েই চলেছে। এমতাবস্থায় পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে কার্যত হুমকি দিলেন বিধায়ক ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। তবে চুপ থাকেনি বিজেপি। পাল্টা হুঁশিয়ারির পথে হাঁটলেন তাঁরাও।
বিজেপিকে আক্রমণ সোহম চক্রবর্তীর
গত বৃহস্পতিবার, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে গাংপুরের স্বস্তিপল্লি ফুটবল ময়দানে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই বিজয়া সম্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। এই মঞ্চ থেকেই আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা দলীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর সেই সময় নিজের বক্তৃতার মাধ্যমে বিজেপিকে এক হাত নেন সোহম। আক্রমণাত্মক ভাষায় তিনি বলেন, “বাংলার প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কারণ, তাদের লক্ষ্য, বাংলাকে কীভাবে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া যায়। যতবার তারা বাংলাকে সাফ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, ততবার আপনারা তাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাফ করে দিয়েছেন।”
কী বলছেন সোহম?
এছাড়াও এদিন মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ” সত্যি করে বলুন তো সবচেয়ে বড় যদি কেউ গণতন্ত্রের পূজারি হয়ে হয়ে থাকেন তাঁর নাম কী ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এসে যে এত বড় বড় কথা বলেন, বাংলাকে দখল করার, আমাদের নেত্রীকে, আমাদের নেতাকে আক্রমণ করেন ব্যক্তিগতভাবে, যদি আমরা এক ইঞ্চি, এক সেকেন্ডের জন্য গণতন্ত্রের চিন্তা থেকে সরে যাই, বলা দূরের কথা, মিটিং করা তো দূরের কথা, মিছিল করা তো দূরের কথা, একটা বিজেপির পতাকা আপনারা লাগাতে পারবেন এই বাংলায়? পারবেন না।”
আরও পড়ুন: ‘তুই শ্রীরামপুরে আয়, ঘরে ফিরে যাস কী করে দেখব!’ কল্যাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ সুকান্তর
কড়া জবাব সুকান্ত এবং সৌম্যরূপের
তবে নায়ক তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর এই হুঙ্কারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপির পূর্ব বর্ধমানের মুখপাত্র চিকিৎসক সৌম্যরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, তাদের কাছে গণতন্ত্রের শিক্ষা নেওয়ারও কিছু নেই। উনি হরলিক্স খাওয়া ব্যক্তি। ওঁকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। ভোটের টিকিট নিশ্চিত করতে এমন কথা বলছেন।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিটিং, মিছিল, বিজেপিকে করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বাকি আর কী আছে। বিজেপির একজন সাংসদের এত রক্ত ঝরল। পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সোহমবাবুর বোঝা উচিত ভারতবর্ষে সংবিধান আছে। সোহমবাবু বা সোহমবাবুর মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃপা করে দেননি।”