মুখে কালি, চুলের মুঠি ধরে জুতোপেটা! ‘নিম্নবর্ণের’ পঞ্চায়েত প্রধানকে চরম হেনস্থা তৃণমূলের

Published:

Kharagpur
Follow

প্রীতি পোদ্দার, খড়গপুর: কিছুদিন আগে লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। সেখানে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতিতে এক তীব্র ঝড় উঠেছে। এমনকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। শুধু তাই নয় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমতাবস্থায় খড়গপুরে (Kharagpur) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ  তুলে ধরলেন তিনি।

পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার , খড়গপুর ২ নং ব্লকের চাঙ্গুয়াল পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দে-র হাতে মারধর খেলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি সিংহ। অভিযোগ, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বাধা দেওয়া নিয়েই শুরু হয় বচসা। যা গড়ায় মারামারিতে। এই ঘটনায় চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেত্রী দীপালি সিংহ জানিয়েছেন যে, “আমাদেরই একজন পঞ্চায়েত সদস্য, তিনি আমার কাছে এসেছিলেন। এসে বলেছেন গার্ডওয়ালের একটা কাজ আছে, যেটা উনি এইবার করতে চাইছেন। উনি আগে থেকে পরিকল্পনা করে এসেছিলেন কালিটা আমার গায়ে ছিটাবে বলে। কালিটা যখন ঢালবে, আমি এমন ধাক্কা মেরেছি, ওইপাশে গিয়ে ধাক্কাটা লেগেছে।”

পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ

অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা জবাবদিহি করেন চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা দে। তিনি বলেন, “একটা চিনেমাটির টব তুলে এনে আমার মাথায় আঘাত করেছে পঞ্চায়েত প্রধান। মুখে কালি লাগিয়েছে আমাকে। জামা ওড়নায় পুরো কালি লাগিয়েছে। অঞ্চল অফিস জিপিতে আমি তালা ঝুলিয়ে রেখেছি। তারপর পাবলিককে ডেকেছি। আমরা সবাই তৃণমূল।” এরপর হামলার খবর পেয়ে খড়গপুর দু’নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দীপঙ্কর রায় ও খড়গপুর লোকাল থানা পুলিশ পৌঁছায়। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: পুলিশের খাতায় পলাতক, জামিন দেয়নি সুপ্রিম কোর্টও! এবার জেলে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি

কটাক্ষ শুভেন্দুর

এদিকে পঞ্চায়েত অফিসেই তৃণমূলের দুই নেত্রীর মারধরের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “তৃণমূল দল শুধুমাত্র আদিবাসী মুলবাসী সাংসদ খগেন মুর্মুকে রক্তাক্ত করে ক্ষান্ত নেই নিজের দলের তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান কেও হেনস্থা করতে ছাড়ছে না। যারা মা মাটি মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল আজ তাদের হাতেই বাংলার মাতৃশক্তি লাঞ্ছিত, অপমানিত…” অন্যদিকে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য এবং অঞ্চলের বিরোধী দলনেত্রী সাথী চক্রবর্তী বলেন, “ওদের নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা হচ্ছে, ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে। নিজেদের সমস্যা নিজেরা না মেটাতে পারলে, তখন বিজেপিকে টানছে।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join