আবাস, চাকরি দেওয়ার নামে ১২০ কোটির দুর্নীতি! তৃণমূলের পুরসভার চেয়ারম্যানকে চরম শাস্তি

Published on:

swapan saha tmc

দেবপ্রসাদ মুখার্জী: দুর্নীতি দমন করতে মরিয়া তৃণমূল। এবার, দুর্নীতির অভিযোগে, মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে তৃণমূল কংগ্রেস দল থেকে সাসপেন্ড করা করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বপন সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১২০ কোটিরও বেশি টাকার আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার তছরুপ থেকে শুরু করে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া, মার্কেটে দোকান বণ্টন ও অবৈধ নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়ার মতো অভিযোগ সামনে এসেছে।

WhatsApp Community Join Now

তৃণমূল কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল। আর শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো দল। ‘নো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ঘাসফুল শিবির একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে দল অভিযুক্ত স্বপন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে। যদিও স্বপন সাহা নিজে জানান, তিনি নাকি সাসপেন্ডের বিষয়ে কোনো চিঠি বা টেলিফোনে কোনো তথ্য পাননি। তবে সাসপেন্ডের চিঠি হাতে পেলেই তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে জানান।

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার প্রতি তৃণমূলের ‘নো টলারেন্স’ নীতি

এই বিষয়ে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, মালবাজার পুরসভায় স্বপন সাহার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির মামলা ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে গড়িয়েছে। এমনকি ঠিকাদারদের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে রুলও জারি করা হয়েছে। তিনি জানান, “দলের কাছে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সেই দিক থেকে দল হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁকে সাসপেন্ড করার। স্বপন সাহার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বণ্টনকে কেন্দ্র করেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।”

অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

দুর্নীতির অভিযোগে, স্বপন সাহার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সুমন শিকদার গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানি হয়, যেখানে স্বপনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়। আইনজীবী জানান, “মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৷ তিনি-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসক-সহ নানা জায়গায় চিঠি দিয়েছি৷ সেখান থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা করি।”

সঙ্গে থাকুন ➥