প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2026)। তাই সিংহাসন দখলের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। এদিকে ছাব্বিশের নির্বাচনে শাসকদলের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ফুরফুরা শরিফ। সম্প্রতি কাশেম সিদ্দিকীকে নতুন পদ দেওয়ার পরেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আর এই আবহেই ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ভোটের ভবিষ্যৎবাণী জানিয়ে দিলেন। তৃণমূল নাকি মুসলিম ভোটের একাংশ হারাবে।
কাশেম সিদ্দিকীকে নিয়ে জোর বিতর্ক!
গত মার্চ মাস থেকেই শাসকদলে সংখ্যালঘু রাজনীতি নিয়ে নানা চাপানউতোর লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এদিকে ৯ বছর পর ফুরফুরা শরিফে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিলেন কামেশ সিদ্দিকীকে। রাজ্য সরকার আয়োজিত ইফতারে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে ‘মুখ’ ছিলেন তিনি।
এমনকি তাঁকে দলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়ায় সংখ্যালঘুদের অন্দরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল বলে ফুরফুরায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই বিতর্কে আরও রং চড়ালেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।
বিস্ফোরক মন্তব্য ত্বহা সিদ্দিকির!
এদিন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি সরাসরি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কাসেম সিদ্দিকিকে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ যে মানুষটা কিছুদিন আগে তৃণমূলের নামে এত বাজে কথা বলেছে দলকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে তবে দ্বিধা বোধ হয়নি, সেই তাঁকেই মাথায় তুলে দিল তৃণমূল। মুসলিমরা এই দ্বিচারিতা কখনোই মেনে নেবেন না। এতে তৃণমূলের ক্ষতি হল।”
ভাঙড়ে জয় হবে ISF-এর!
এখানেই তিনি থেমে থাকেনি। এরপর আগত নির্বাচনের হিসাব কষে তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয় ভাঙড়ে ISF আবার জিতবে। তার বাইরে আরও দু’-চারটে আসন জিততেও পারে। নির্বাচনে (Assembly Election 2026) নওশাদের ব্যাপক লাভ হবে। ২০২৬ সালে সংখ্যালঘু মুসলিমরা রাজ্যে ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে।’
এছাড়াও সিদ্দিকি আর্ক বলেন, “ফুরফুরা শরিফের পিরজাদারা কখন কার পক্ষে কথা বলেন কিছু বোঝা যায় না। তবে ২০২৬-এ মুসলিম ভোটের জোরে তৃণমূলের আসন আরও বাড়বে। বিজেপি যে ভাবে মুসলিমসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অপমান করছে তাতে এই ফলই দাঁড়ায়। ”
আরও পড়ুন: তুলসীর মালা পরায় ফতোয়া জারি! বিতর্কে বারাসতের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা কাশেম সিদ্দিকীকে ‘পচা আলু’ বলেছিলেন। সে প্রসঙ্গে ত্বহা বলেন, “শওকত মোল্লা অনেক দুঃখে কষ্টে এই ধরনের কথা বলছেন।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের কর্মীরা ভাবছে, যাঁরাই দলকে দলের নেতৃত্বকে গালাগাল দেবে, তাঁরাই দলের পদ পাবে। আমে দুধে মিশে যাবে আঁটি গড়াগড়ি খাবে।” এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন করেছে যে তবে কি আগত বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল মুসলিম ভোট খুব কম পাবে? নাকি সবটাই শুধু ধারণা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |