‘বাংলাতেও হবে!’ SIR নিয়ে মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব অমিত শাহের

Published:

Amit Shah
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরেই মহা সমারোহে শুরু হবে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তবে নির্বাচনের আগে বাংলায় শুরু হতে চলেছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। কালীপুজোর পর পরই শুরু হবে সেই প্রক্রিয়া। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিজেপি সহমত জানালেও মানতে নারাজ বাকি রাজনৈতিক দলগুলি। ঘুরপথে বাংলায় এনআরসি চালুর চেষ্টা বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। তবে এবার মমতার হুঁশিয়ারির পর পাল্টা সাফ জবাব দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব শাহের

কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, বাংলায় SIR-এ কারও নাম বাদ গেলে তিনি আন্দোলন করবেন। এবার মমতার সেই হুঁশিয়ারিকে প্রশ্ন হিসেবে অমিত শাহকে করা হয়েছে, এই আবহে বাংলায় এসআইআর নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। এদিন অমিত শাহ বলেন, “বিহারেও তো একই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কী হয়েছে? সবাই তো কাগজ জমা দিয়েছেন। ভোটও হবে। বাংলাতেও হবে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তারপর এদের ভোটার তালিকা থেকে ডিলিট করা হবে। সবশেষে নির্বাসিত করা হবে। যাদের নাম বাদ যাবে, বা যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের কোথায় পাঠানো হবে, কীভাবে পাঠানো হবে, সেটা সময়ই বলবে। আপনারা শুধু দেখতে থাকুন।”

উপযুক্ত জবাব রাহুল গান্ধীকেও!

এদিন SIR নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু যে মমতা এবং তাঁর দলকে বিঁধেছে তা নয়, পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর বিরোধিতা করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “দেশে SIR এই প্রথমবার হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার হয়। অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর ঠাকুমার বাবা, ঠাকুমা, বাবা ও মায়ের সময় SIR হয়েছে। SIR হল ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ। যখন ১০ থেকে ১৫ সাল হয়ে যায় তখন অনেকে মারা যান, অনেকে অন্যত্র চলে যান। তাঁদের হয়তো দু জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকে। সেটার তো সংশোধন দরকার।”

আরও পড়ুন: ৩০ বছর ধরে নাম পাল্টে ভারতে, বাংলাদেশি আয়ান খান হয়ে ওঠে ‘গুরু মা!’ করে মানবপাচার

যদিও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বারংবার অভিযোগ তুলে আসছে যে, মুসলিমদের বেছে বেছে নাকি বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সেই প্রসঙ্গেও এবার সরাসরি মুখ খুললেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মুসলমান অথচ অনুপ্রবেশকারী হলেও তাদের কি ভোটাধিকার থাকা উচিত? শুধু মুসলমান বলে তাদের কি অন্যায় অধিকার দেওয়া উচিত? রাহুল গান্ধী তাহলে প্রকাশ্যে একথা বলুন। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যারা ধর্মকে আনছে তারা ভুল করছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য খুব বিপজ্জনক।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join