প্রীতি পোদ্দার: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের রায়ের বিচারে তৃতীয়বার ভারতের সংবিধানে সরকার গঠন করল মোদী সরকার। একপ্রকার ঐতিহাসিক জয় হাসিল করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। নতুন পদ গ্রহণ করতে হলে তো পুরোনো পদ ছাড়তেই হবে, তাই বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার পরেই বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁকে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কে হবে রাজ্য সভাপতি।
তালিকায় উঠে এসেছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম!
ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে জল্পনায় চলে এসেছে একাধিক নাম। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঠিক তেমনি সেই তালিকায় আরও এবার নাম উঠে এল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর নামও। শুধু তাই নয়, চর্চায় উঠে এসেছে শমীক ভট্টাচার্য, সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নাম। অনেকের ধারণা যে চলতি বছর লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে বিজেপির খারাপ ফলের মধ্যেও নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি আসনেই ‘পদ্ম’কে জয় এনে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই সেক্ষেত্রে অমিত শাহ-জেপি নড্ডারা তাঁকে বেছে নিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।
মহিলা মুখ হিসেবে উঠে আসছে লকেট!
অন্যদিকে লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে দিলীপ ঘোষ হেরে গেলেও, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় সবচেয়ে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। ফলে তাঁর নামও অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্য বর্তমানে দলের রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্য মুখপাত্র। এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও পুরুলিয়ার সাংসদ। পুরুলিয়ার পর পর দু’বারের সাংসদ হয়েছেন জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। এদিকে আবার, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হলেও লকেট রাজ্য বিজেপির অন্যতম ‘মহিলা মুখ’।
যদিও সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব কে সামলাবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এইমুহুর্তে একাধিক নাম চর্চায় থাকলেও বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা একমাত্র ঠিক করবেন মোদি-শাহই। সূত্রের খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাজ্যে আসার কথা অমিত শাহর। সেখানেই নাকি রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তাঁরা।