“মুখ্যমন্ত্রী ১০০ টাকা দিলে ২৫ টাকার কাজ হয়!” বিস্ফোরক TMC বিধায়ক জাকির হোসেন

Published:

Murshidabad
Follow

প্রীতি পোদ্দার, জঙ্গিপুর: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস, এরপরেই শুরু হতে চলেছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে তাই পুজোর মরসুমের মাঝেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট উৎসবের প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন হাতানোর লড়াইয়ে বিরোধী দল থেকে শুরু করে শাসকদল সকলেই বেশ ব্যস্ত। তাইতো নির্বাচনের হাওয়া বুঝতে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। এদিকে সেই মঞ্চই যেন বারেবারে হয়ে উঠছে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার আখড়া, শাসকদলের অন্দরে বাড়ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের লড়াই। আর সেই একই দৃশ্য দেখা গেল এবার দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুরে।

জঙ্গিপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের সঙ্গে বরাবরেরই তিক্ত সম্পর্ক তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের। প্রায়শই তাঁদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যায়। চলতি বছর জুন মাসের শেষের দিকে, দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই ৯ কাউন্সিলর। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন জানান ১ কংগ্রেস ও ১ বিজেপি কাউন্সিলর। সেই সময় এই অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করতে, কলকাতার তৃণমূল ভবনের বৈঠকে জঙ্গিপুর পুরসভার তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব। সেবারের মতো, অনাস্থা ঠেকানো গেলেও, ৩ মাস পর ফের মাথা চাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সেই নিয়েই এবার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।

বিস্ফোরক মন্তব্য জাকির হোসেনের

সম্প্রতি, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। আর সেখানেই তৃণমূল পরিচালিত জঙ্গিপুর পুরসভার একাংশের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিধায়ক। বললেন, ‘আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ১০০ টাকা পৌঁছলে, ২৫ টাকার কাজ হয়। আমি পুরসভার ভাল করতে গিয়েছিলাম। কিছু নেতা বাধা দিয়েছে। তাই আজ পুরসভার অবস্থা দেখুন … জেলাশাসকের কাছে গিয়ে আমি ন্যায্য বিচার পাইনি। SDO-কে বারবার বলা সত্ত্বেও তদন্ত করেনি … কেন জলের কাজ করা হয়নি?” আর এই বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও এ নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। মন্তব্য করতে চাননি জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম-ও।

আরও পড়ুন: ভারতীয় রেল নিয়ে ভুয়ো ভিডিও ছড়ালেই কড়া পদক্ষেপ! স্পষ্ট বার্তা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

এর আগেও ভরা জনসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিধায়ক জাকির হোসেন। দফায় দফায় শাসকদলের বড় নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে উঠে আসায় জঙ্গিপুরে এক অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে পাশে বসিয়ে জাকির হোসেন দলের বিরূদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দলের প্রধানরা চুরি করছে। তার দায় আমাদের দিদিকে নিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। আমরা চাই না দিদির বদনাম হোক, ববিদার বদনাম হোক। যে দুর্নীতি করছে তাদের নামে আমার কাছে অভিযোগ করবেন। আমি ববিদার কাছে অভিযোগ করব। দাদাকে বলব, যে যে প্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা ধরা পড়ুক। তা না হলে দল স্বচ্ছ হবে না’। ফলস্বরূপ নির্বাচনের আগে মহাসমস্যায় পড়েছে শাসকদল।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join