হাতের তালুতে এরকম চিহ্ন আছে! মিলিয়ে দেখুন, থাকলেই খুলে যাবে ভাগ্যের দরজা

Published on:

palmistry

দেবপ্রসাদ মুখার্জী: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, হাতের তালুতে ভাগ্যের পরিভাষা নিয়ে জন্ম নেয় মানুষ। সেই কারণে হস্তরেখা বিচার আজকাল গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী, হাতের রেখা, আঙুল এবং পাহাড়ের অবস্থানের মাধ্যমে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ ও চরিত্র বিশ্লেষণ করা হয়। হাতের প্রধান তিনটি রেখা—হৃদয়রেখা, মস্তিষ্করেখা এবং জীবনরেখা—ব্যক্তির প্রেম, বুদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং জীবনের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

WhatsApp Community Join Now

এছাড়াও, হাতের তালুতে থাকা শুক্র, গুরু, শনি, সূর্য, এবং চন্দ্র পাহাড়গুলি মানুষের আর্থিক অবস্থান, সামাজিক মর্যাদা, এবং ব্যক্তিত্ব নির্দেশ করে। এগুলি সাধারণত হাতের তালুর বিভিন্ন অংশে অবস্থিত হয় এইসব পাহাড়ের উঁচু বা উন্মুক্ত অবস্থান জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে। এই প্রতিবেদনে, আমরা শুক্র এবং গুরু – এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ের প্রভাব ও ইঙ্গিত সম্পর্কে জেনে নেবো

হাতের তালুতে ‘শুক্র পাহাড়’ থাকলে কি হয়?

শুক্র পাহাড় মূলত আঙুলের গোড়ায়, অর্থাৎ হাতের তর্জনী আঙুলের নিচে দেখা যায়। শুক্র পাহাড় যদি উঁচু এবং স্পষ্ট থাকে, তাহলে এটি ধনসম্পদ এবং সম্মান প্রাপ্তির প্রতীক। এই পাহাড় হাতে থাকলে জীবনে সম্পদ এবং সুখের অভাব হয় না। এই ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত সমাজে প্রভাবশালী ও সম্মানিত হয়। হাতের তালুতে যাদের উঁচু শুক্র পাহাড় থাকে, তাঁরা সাধারণত শিল্প, সৌন্দর্য এবং সৃজনশীলতায় দক্ষ হয়ে থাকেন। তাঁরা প্রেম জীবনেও সফল হন এবং সামাজিক জীবনে সুন্দর ফলাফল অর্জন করেন। তবে, শুক্র পাহাড়ে যদি ত্রিশূল বা ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে, তাহলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

হাতের তালুতে ‘গুরু পাহাড়’ থাকলে কি হয়?

গুরু পাহাড় সাধারণত তর্জনী আঙুলের গোড়ায় অবস্থিত হয়। যাঁদের হাতে গুরু পাহাড় যদি স্পষ্ট এবং উঁচু থাকে, তাঁরা মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করেন। এদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ এবং জ্ঞান অর্জনের প্রবণতা দেখা যায়। এরা সাধারণত সমাজে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়। এই পাহাড় হাতের তালুতে থাকলে জীবনে সম্পদ ও সুখের অভাব হয় না। তবে, গুরু পাহাড়ে যদি তারকা বা ক্রস চিহ্ন থাকে, তাহলে দীর্ঘকালীন সাফল্য ও খ্যাতি আসবে।

Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস ও লোকমান্যতার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এসবের বৈজ্ঞানিক যুক্তি নিশ্চিত করা হয়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥