সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: শ্রাবণ মাস মানেই ভক্তি, আরাধনা, কানওয়াড় যাত্রা, আর শ্রাবণের সোমবারে শিবের আরাধনা! তবে আপনি কি জানেন, এই পবিত্র মাসে একটি ছোট্ট উপহার দিলে আপনি পেতে পারেন মহাদেবের (Mahadev) অশেষ কৃপা?
হ্যাঁ, বিশেষ করে যদি কোনও শিশুকে সেই উপহার দেন, তাহলে আর ফিরে তাকাতে হবে না। কথাটা অবাক লাগলেও সত্যি। শাস্ত্রে এমনই বিশ্বাস করা হয় যে, এই মাসে ভোলানাথের প্রিয় একটি জিনিস উপহার দিলে তার কৃপাদৃষ্টি পড়ে ভক্তদের উপর।
শ্রাবণ মাসে শিশুদেরকে কী উপহার দিতে হয়?
পুরাণে কথিত রয়েছে, শ্রাবণ মাসে ভোলানাথ তার শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ, পৃথিবীতে আসে পার্বতী দেবীর সঙ্গে থাকতে। আর এই সময় দেবতার আরাধনা ও দান ধ্যান করলে মাহাত্ম্য লাভ হয়। বিশেষ করে ডমরু মহাদেবের প্রিয় একটি বাদ্যযন্ত্র। তাই যদি কোনও শিশুকে সেটাকে উপহার দিতে পারেন, তাহলে তা খুব শুভ বলেই বিবেচিত হয়।
আসলে শিশুরা ডমরু পেলে খুশি হয়। আর তাদের মন থেকে শান্তি আর প্রফুল্লতা ফুটে ওঠে। ডমরুর শব্দ পরিবেশ থেকে সমস্ত নেতিবাচক শব্দ দূর করে দেয়, আর চারপাশে সমস্ত ইতিবাচক এনার্জি ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এর শব্দ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি শিশুদের মনোসংযোগও বাড়িয়ে তোলে।
বাড়িতে ডমরু রাখার মাহাত্ম্য
যদি আপনি কাউকে ডমরু উপহার নাও দিতে পারেন তবুও নিজের বাড়িতে একটি ডমরু রেখে যেতে পারেন। তারও উপকারিতা রয়েছে। এতে ঘর থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি দূর হয়, আর সুখ শান্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি বেড়ে ওঠে। পাশাপাশি ভোরবেলা বা সন্ধ্যাবেলায় যদি ডমরু বাজাতে পারেন, তাহলে ঘরে পবিত্র কম্পন সৃষ্টি হয়, যা মনের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে লক্ষ্মীপুজো কবে পড়ছে? দেখুন সময়সূচি, তিথি-নক্ষত্র ও পুজোর নিয়ম
শিব মন্দিরে ত্রিশূল দান করলেও মেলে কৃপা
শুধু ডমরু নয়, বরং ভোলানাথের আরেক প্রিয় বস্তু হল ত্রিশূল। আর যদি শ্রাবণ মাসের এই বিশেষ তিথিতে ছোট্ট ত্রিশূল কিনে কোনও শিব মন্দিরে দান করতে পারেন, তাহলেও মহাদেবের অশেষ কৃপা লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরাণে কথিত রয়েছে, এটি শত্রু বিনাশ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরকে সুরক্ষা দেয় এবং অন্তর থেকে সাহস আর শক্তি ফিরিয়ে আনে।