সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভক্তি, নিঃস্বার্থ আর ঈশ্বরের আরাধনা করার দিন এটি। আর সেই নিঃস্বার্থ ভক্তির দিনই হল কামিকা একাদশী (Kamika Ekadashi 2025)। হ্যাঁ, শ্রাবণ মাসের সাওনের পরিবেশে ভক্তিময় হৃদয় নিয়ে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই শুভ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ এটি শুধুমাত্র উপবাসের জন্য নয়, বরং মহজাগরণেরও মুহূর্ত। কারণ এদিন শ্রী হরি বিষ্ণুর চরণে প্রার্থনা করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
কবে পড়ছে কামিকা একাদশী 2025? | Kamika Ekadashi 2025 Date And Time |
বছরের অন্যতম পবিত্র একাদশী তিথি হিসেবে এটিকেই মানা হয়। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণ কক্ষের শুভ তিথিতে এই একাদশীর উপবাস হয়। আর এবছর একাদশী তিথি শুরু হবে 20 জুলাই দুপুর 12:12 মিনিটে এবং শেষ হবে আগামী 21 জুলাই সকাল 9:38 মিনিটে। কিন্তু বৈদিক নিয়ম বলছে, তিথির গণনা সূর্যোদয় থেকে হওয়ায় উপবাস এবং পূজা উদযাপন করা হবে 21 জুলাই, রবিবার।
কী কারণে বিশেষ এই কামিকা একাদশী?
আসলে শ্রী বিষ্ণুর অনন্ত মহিমার মাঝে কামিকা একাদশী সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। পুরাণ বলছে, এই তিথিতে উপবাস রাখলে এবং শ্রী হরির মন্ত্র জপ করলে পাপ মুক্তি ঘটে। পাশাপাশি পরিবারে সুখ-শান্তি ফিরে আসে এবং মানসিক শান্তি ও মোক্ষলাভ হয়। এমনকি কেরিয়ারেও উন্নতি হয়। শুধু তাই নয়, মা লক্ষ্মীর কৃপাও লাভ করা যায় এদিন। বিশেষ করে তুলসী পাতা দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলে কথিত রয়েছে।
এদিন কোন কোন শুভ যোগ তৈরি হয়েছে?
পঞ্জিকা থেকে জানা গেল, এই কামিকা একাদশীতে হচ্ছে দুটি শুভ যোগ। আর সেগুলি হল—বৃদ্ধি এবং ধ্রুব। এই যোগে শ্রীলক্ষীনারায়ণের আরাধনায় যে ফল পাওয়া যায়, তা সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায়। ভক্তরা এদিন ইচ্ছা মতো স্নান করেন এবং প্রার্থনা করেন।
উপাসনার সময়সূচী
এদিন সূর্যোদয় হচ্ছে সকাল 5:36 মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা 7:18 মিনিটে। ব্রহ্ম মুহূর্ত পড়ছে ভোর 4:14 মিনিট থেকে 4:55 মিনিট পর্যন্ত এবং বিজয় মূহুর্ত দুপুর 2:44 মিনিট থেকে 3:39 মিনিট পর্যন্ত। পাশাপাশি গোধূলি লগ্ন পড়ছে সন্ধ্যা 7:17 মিনিট থেকে 7:38 মিনিট পর্যন্ত এবং নিশীথ মুহূর্ত রাত 12:07 মিনিট থেকে 12:48 মিনিট পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিয়ে দাম কমল সোনার, রুপো নিয়ে দুঃসংবাদ! আজকের রেট
উপবাস এবং পূজার নিয়ম
এই বিশেষ দিনে দুধ, ফল এবং তুলসী পাতা গ্রহণ করতে হয়। পাশাপাশি পুজোয় শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি সামনে রেখে প্রদীপ, তুলসী পাতা এবং ফলমূল নিবেদন করতে হয়। শুধু তাই নয়, ভক্তিভরে বিষ্ণু নাম এবং বিষ্ণু গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে হয়। আর সন্ধ্যাবেলা গোধূলি লগ্নে তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালালে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।