দেবপ্রসাদ মুখার্জী: চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে তরুণ ভারতীয় পেস বোলার আকাশ দীপের বোলিং পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সকলের। এমনকি এই বোলারের মধ্যে ভারতের কিংবদন্তি পেসার মহম্মদ শামির ঝলক দেখা গেছে। ভারতের এই তরুণ পেসার শুরুর থেকেই তার সিম মুভমেন্ট এবং সঠিক লাইন-লেংথ দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলে দেন।
এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আকাশ দীপ পরপর দুই বলে বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান—জাকির হাসান এবং মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দেন। একটা সময় তিনি হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তাঁকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি। তবে ম্যাচের বাকি সময়ে আকাশ যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে মহম্মদ শামির সঙ্গে তাঁর তুলনা টানতে শুরু করেছেন অনেকেই।
ভারতের উদীয়মান পেস বোলার আকাশ দীপ
আকাশ দীপের বোলিংয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার সিম মুভমেন্ট। তিনি তার বলের সোজাসুজি সিম ধরে রাখার কৌশল ব্যবহার করেন, যা ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়। বলের সিম ঠিক রাখার পাশাপাশি তিনি অফ স্টাম্প লাইনে ধারাবাহিকভাবে বল করেন, যা ব্যাটারদের জন্য ‘করিডর অফ আনসার্টেইন্টি’ তৈরি করে। এটি এমন একটি স্থান যেখানে বল কখনো ভেতরে ঢোকে, আবার কখনো বাইরের দিকে সরে যায়। এর এখানেই বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
শামি ও আকাশ দীপের বোলিংয়ের মিল ও অমিল
শামির বোলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করলে আকাশ দীপের বলের গতি কিছুটা কম। তবে তাঁর বোলিং অনেকটা স্কিড করে। অর্থাৎ বল ব্যাটসম্যানের কাছে অনেক দ্রুত পৌঁছায়। এ ধরনের বোলিং ভারতের পিচে খুবই কার্যকরী। আকাশ দীপের বোলিং স্টাইল শামির মতো হলেও, শামি সাধারণত বলকে আরও দ্রুত গতিতে সিম করাতে পারেন এবং উভয় দিক থেকে সুইং করাতে সক্ষম। দীপকে এই জায়গায় আরো বেশি উন্নতি করতে হবে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালো বোলিং করেন আকাশ দীপ
এই টেস্ট সিরিজে আকাশ দীপকে শুরুর দিকে বোলিং করার সুযোগ দেওয়া হলেও তিনি প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে দলে ছিলেন। তবে ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর সিম ধরে রাখা এবং স্টাম্প টার্গেট করার কৌশল তাকে আরও পরিণত বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে। এছাড়া, চেন্নাইয়ের ম্যাচে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং বাংলাদেশি ব্যাটারদের বিপক্ষে দারুণ বোলিং আক্রমণ ভবিষ্যতে ভারতীয় পেস আক্রমণে তাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এনে দিতে পারে।