পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আজ অর্থাৎ শনিবার মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Super Giant) বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুরের দিকে সভা শুরু হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সচিব দেবাশীস দত্ত থেকে প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস। তবে বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে যায়, যার ফলে হাতাহাতি থেকে শুরু করে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
মোহনবাগান বার্ষিক সভায় হুলুস্থূল কান্ড!
এদিন তিনটে থেকে বৈঠক শুরু হয়, যদিও সমর্থকেরা ১টা ৩০ মিনিট থেকেই জমা হতে শুরু হয়েছিল। সভাতে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি মেলেনি। তবে যেমনটা জানা যাচ্ছে, বর্তমান সচিব প্রথমে বক্তব্য রাখেন ও তারপর প্রাক্তন সচিব বক্তব্য রাখার সময় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন জেট আগামী মার্চ মাসে হওয়ার কথা। নির্বাচনের তারিখ নিয়েই সূত্রপাত ঝামেলার। যেটা কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
প্রাক্তন সচিবের সমর্থকদের অভিযোগ, জোর করেই নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি ভোটার তালিকা পর্যন্ত তৈরী করা হয়নি বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই সমস্ত ঝামেলা চলাকালীন বেশ কিছু সদস্য তাবু থেকে বেরিয়ে চলে আসেন। কারণ তাদের মতে, মোহনবাগান আমাদের মায়ের মত। ক্লাবে এই ধরণের অশান্তি মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এরপর কিছু সময়ের জন্য সভা স্থগিত থাকার পর পুনরায় সভা হয়।
ঝামেলা নিয়ে কী বললেন বর্তমান সচিব?
এদিনের ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে দেবাশিস বাবু জানান, ‘ধাক্কাধাক্কির জেরে কেউ হয়তো আহত হয়েছেন। আমি কিছু দেখিনি, আমার কিছু জানা নেই। তবে এরম ক্লাবে উত্তেজনা থাকবেই। আমরা ফুটবলের সমর্থক ৯০ মিনিট ধরে উত্তেজনা থাকে, আমরা জিততে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে উত্তেজনা থাকবেই। কিছু সময়ের জন্য ঝামেলা হয়েছিল, এটা তেমন কোনো ঘটনা না। ১৯৯৪ থেকে মোহনবাগানে আছি, আগে বার্ষিক সভাই হত না। এখন তো তও সময়ে নির্বাচন হয়, আগে বার্ষিক সভা নিয়ে গন্ডগোল আরও বেশি হয়েছিল’।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা হয়ে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার নতুন ট্রেন, NJP থেকে ছাড়বে রাতে, কবে শুরু?
ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল বললেন প্রাক্তন সচিব
সভা শেষে প্রাক্তন সচিবকে ঝামেলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে জানান তিনি। এদিকে সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ জানান, ‘এটা সম্পূর্ণ মোহনবাগান পরিবারের ভিতরের ব্যাপার। নির্বাচনের ২টি পক্ষ উপস্থাপন করা হয়েছিল ফলে মতবিরোধ তৈরী হয়। আমি সচিব কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছি। সেখানেই মুখোমুখি আলোচনা করা হবে। তারপর আইন মেনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায় নেবেন’। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডাকা হবে বলেও জানানো হয়।