বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যাট ঘুরিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। টিম ইন্ডিয়ার সেই উদীয়মান তারকার কাছ থেকেই এবার 5 কোটি টাকা দাবি করা হল। জানা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে মেসেজ মারফত ভারতীয় ক্রিকেটারের কাছে কোটি টাকা দাবি করেছেন দুর্বৃত্তরা। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তথ্য অনুযায়ী, রিঙ্কুকে কার্যত হুমকি (Threats To Rinku Singh) দিয়ে যে অর্থ দাবি করা হয়েছে তা দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানির সাথে সম্পর্কিত।
গ্রেফতার হয়েছেন দুই অভিযুক্ত
নবভারত টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সংস্থা ডি কোম্পানির সাথে যুক্ত একটি গ্যাং নাকি মেসেজে ভারতীয় ক্রিকেটার রিঙ্কুর কাছ থেকে 5 কোটি টাকা দাবি করেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা রিঙ্কুকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের 9 এপ্রিল রাতে নাভিদ নামক এক ব্যক্তি রিঙ্কু সিংকে একটি মেসেজ পাঠান। সেখানে লেখা হয়, ‘আমার 5 কোটি টাকা চাই। আমি সময় এবং স্থান জানিয়ে দিচ্ছি। আপনি সেই মতো টাকাটা সেখানে পাঠিয়ে দেবেন।’ জানা গিয়েছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটারের কাছে অন্তত তিনটি হুমকি বার্তা এসেছে।
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় ক্রিকেটারকে হুমকি দিয়ে তাঁর থেকে 5 কোটি টাকা চাওয়ার অপরাধে ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ দিলশাদ এবং অপরজন মহম্মদ নাভিদ।
এদিকে মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংকে হুমকি দিয়ে কোটি টাকার চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানি। সূত্রের খবর, এই গ্যাংটির বিরুদ্ধে নানান সময়ে বিভিন্ন সেলিব্রিটি অর্থাৎ হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের মেসেজের মাধ্যমে হুমকি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: ৮ লাখের কমে লঞ্চ হল Mahindra Bolero এর নতুন সংস্করণ, জানুন ফিচার্স
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকীও একটি হুমকির মেসেজ পেয়েছিলেন। সেখানে জিশানের কাছ থেকে 10 কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়েছিলেন দুর্বৃত্তরা। যদিও পরবর্তীতে ইন্টারপোলের সাহায্যে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে দুই সন্দেহভাজন সেই মহম্মদ নাভিদ এবং মহম্মদ দিলশাদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।