বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চেন্নাইয়িন এফসিতে খেলা স্কটিশ মিডফিল্ডারকে নিয়ে একেবারে হুড়ো-হুড়ি পড়ে গিয়েছে লাল হলুদ শিবিরে (East Bengal)! বেশ কয়েকদিন যাবত শোনা যাচ্ছিল, চেন্নাইয়ের তুখড় ফুটবলার কোনর শিল্ডকে নিয়ে মাঠ কাঁপাতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
তবে আপাতত লাল হলুদের সেই রাস্তায় কাঁটা হয়েছে সুনীল ছেত্রীদের দল বেঙ্গালুরু এফসি। সূত্রের খবর, শিল্ডকে যেকোনও প্রকারের দলে টানতে ইস্টবেঙ্গলের সাথে লড়াইয়ে নেমেছে জিন্দালের ক্লাব। এখন প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম নিয়ে কোন দলে যাবেন স্কটল্যান্ডের এই তাবড় ফুটবলার?
শিল্ডকে নিয়ে কিছু কথা…
স্কটল্যান্ডের 27 বছর বয়সি কোনর শিল্ড মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। সদ্য শেষ হওয়া ইন্ডিয়ান সুপার লিগ মরসুমে চেন্নাইয়ের হয়ে দুরন্ত ফুটবল দেখিয়েছেন এই স্কটিশ তারকা। সেই যাত্রায় নীল ব্রিগেডের হয়ে 1টি গোল ও 8টি অ্যাসিসট রয়েছে তাঁর নামে।
তাছাড়াও ধুরন্ধর মিডফিল্ডারের পা ঘুরে 358টি সফল পাস পেয়েছেন তাঁর সতীর্থ ফুটবলাররা। সেই সাথে 76 বার ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি 107টি রিকভার হাসিল করেছেন তিনি। এর আগের মরসুমে চেন্নাইয়ের হয়েই 3টি গোল করেছিলেন কোনর।
বহু ভূমিকায় কোনর!
চেন্নাইয়ের এই স্কটিশ ফুটবলার মূলত মিডফিল্ড পজিশনেই খেলেন। তবে অন্যান্য সময়ে নিজের অবস্থান ভুলে অপরদিকের মাঝমাঠ থেকে বল বাড়ানোর পাশাপাশি দাপিয়ে গোল করার মতো ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। আর এই বহুমুখী ভূমিকার কারণে স্কটিশ ফুটবলারকে নিয়ে একেবারে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল-বেঙ্গালুরু!
অবশ্যই পড়ুন: রবসন নন, জাতীয় ডিফেন্ডারকেই দলে নিচ্ছে মোহনবাগান! নজরে আরও এক তুখড়
শেষ পর্যন্ত কি ইস্টবেঙ্গলে আসবেন কোনর?
কোচ অস্কারের সাথে মতবিরোধের কারণে ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা। সেই সাথেই সুপার কাপের হার সহ্য করতে না পেরে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়েই একেবারে অবসর নিয়ে নিয়েছেন বিদেশি হেক্টর ইউস্তে। এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে, সল ক্রেসপো চোট নিয়ে বাইরে, তাছাড়াও মেসি বাউলি, হিজাজি মাহের ও রিচার্ড সেলিসের মতো খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
মনে করা হচ্ছে, এইসব বিদেশিকে ছেড়ে দিয়ে কোনরকে দলে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই রাস্তায় বারংবার বাধা দেবে বেঙ্গালুরু। বলা বাহুল্য, কোনর ছাড়াও আইসল্যান্ড জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইঙ্গার জোহানবার্গ গুডমুন্ডসনকে সই করাতে মুখিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল!