বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আলগা হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) রক্ষণভাগ! এই আশঙ্কাতেই ডার্বির আগে দল সাজাচ্ছেন কোচ অস্কার ব্রুঁজো। চোটের কারণে মাঠে নেই মাহিদ তালাল থেকে শুরু করে ক্রেসপোসহ আরও এক ইস্টবেঙ্গল তারকা। হাইভোল্টেজ ডার্বির আগে বিশ্রামে রয়েছেন আনোয়ার আলিও। আর সেই কারণেই রক্ষণ যন্ত্রণায় ভুগছে মশাল শিবির। দুই প্রান্ত থেকে বাগানের আক্রমণ আটকাতে জোড়া ছক কষছে ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগানকে শায়েস্তা করতে নতুন পরিকল্পনা অস্কারের
এই মুহূর্তে আনোয়ারদের বিকল্প নেই দলে। কাজেই ডিফেন্স লাইনআপ ঠিক রেখে শত্রু পক্ষের গোল রোধ করাই একমাত্র লক্ষ্য লাল হলুদের। তাই 3 স্ট্রাইকারকে মাঝ মাঠের দায়িত্ব দিয়ে শত্রু শিবিরের খেলা বন্ধ করতে চাইবেন ব্রুঁজো। দলের হয়ে গোল দিতে না পারলেও পালটা গোলের শিকার হতে একেবারেই রাজি নন তিনি। তবে লালচুননুঙ্গা যেহেতু স্টপারে ফিরছেন, অন্যদিকে দলের অর্ধেক ভার নেবেন নিশুকুমার তাই শত্রু শিবিরে আঘাত হেনে জালে বল জড়ানোর লক্ষ্যটা প্রথম থেকেই থাকবে লাল হলুদের।
সূত্র বলছে, হাই ভোল্টেজ ডার্বির মাঠে লাল হলুদের হয়ে ব্লকিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন সৌভিক চক্রবর্তী ও জিকসন সিং। মিডফিল্ডে ক্যাপ্টেন ক্লিটন সিলভার সঙ্গে আসর জমাবেন পিভি বিষ্ণু। সেই সাথে বদলি হিসেবে নয় বরং খেলা গড়াতেই প্রথমার্ধে দেখা যেতে পারে ডেভিড ও দিয়ামান্তকোসকে। সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, শনিবার রক্ষণ ঢেকে মোহনবাগানের সাপ্লাই লাইন কাটার সাথেসাথে দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানাতে আটঘাট বেঁধেই নামবে ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বিতে গঙ্গা পাড়ের দলকে ডিফেন্স করাটা একেবারেই সহজ হবে না!
চলতি আইএসএল মরসুমের প্রথমদিকে মুখ থুবড়ে পড়লেও লাল হলুদের কাঁধে অস্কারের হাত আসার পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মশাল বাহিনী। বিগত বেশ কয়েকটি ম্যাচে দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে লাল হলুদের ছেলেদের। তবে শনিবারের ডার্বিটা মোহনবাগানের বিপক্ষে বেশ কঠিন হতে চলেছে। কেননা, জেমি ম্যাকলরেন, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেসন কামিন্সদের পায়ে বেড়ি পড়াতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে ইস্টবেঙ্গলের ছেলেদের।
মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসোদের ঠেকিয়ে মোলিনার দলকে আটকাতে হলে টানা 90 মিনিট কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যেতে হবে ইস্টবেঙ্গল বাহিনীকে। তবে সেই রাস্তাটা যে একেবারেই সহজ হবে না, একথা বলাই যায়। মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলকে নিজেদের রক্ষণভাগ সামলে একটানা 90 মিনিট ডিফেন্স করে যাওয়াটা লাল হলুদের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন কাজ। যার আভাস কিছুটা পাওয়া গিয়েছিল মুম্বাইয়ের ছেলেদের বিরুদ্ধে সোমবারের ম্যাচ। তবে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানোই অস্কারের কাজ। কিন্তু শনিবার তা বাস্তবের মাটির স্পর্শ করে কিনা সেটাই দেখার।