বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফুটবলের ময়দানে লাল হলুদকে (East Bengal FC) বলে বলে গোল খাইয়েছে মোহনবাগান। যেই দৃশ্য এখনও ভুলতে পারেননি মশালবাহিনীর সমর্থকরা। তবে শুধু সবুজ মেরুনই নয়, গত মরসুমে প্রায় সব দলের কাছেই একেবারে নাকানি চোবানি খেয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। এবার 22 গজেও ধরা পড়ল সেই একই ছবি।
একসময়ের রঙচঙে ইস্টবেঙ্গল ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে তাঁদের নিজের ছন্দেই। শনিবার সেই কথা পুনরায় মনে করিয়ে দিল বাগান। এদিন দেশবন্ধু পার্কে খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান। ক্রিকেটীয় সম্পর্ক অটুট রেখেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই জায়ান্ট। তবে শেষ পর্যন্ত চওড়া হাসি ধরে রাখল মেরিনার্সরা।
বাগানের কাছে ক্রিকেটেও হার ইস্টবেঙ্গলের
শনিবার দেশবন্ধু পার্কে জেসি মুখার্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে সম্মুখ সমরে উপস্থিত হয় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। আর সেই আসরেই লাল হলুদের ক্রিকেটের স্বপ্নও কার্যত ভেঙ্গে চুরমার করে দিল মোহনবাগান। এদিন 19.2 ওভারে 153 রান গড়ে ইস্টবেঙ্গলকে লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাগান।
বলা বাহুল্য, শনিবার বাগানের হয়ে বড় ইনিংস খেলেছিলেন সৌরভ হালদার। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে 32 বলে 40 রানের যোগদান পেয়েছিল দল। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কণিষ্ক শেঠ 26 রান খরচ করে 4 উইকেট তুলেছিলেন।
চেনা প্রতিদ্বন্ধী মোহনবাগানের ঠিক করে দেওয়ার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে 9 উইকেট খুঁইয়ে 144 রানে গুটিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও বাগানের বিরুদ্ধে জয়ের আমরণ চেষ্টা করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক দাস (34) ও সন্দীপন দাস (33) সহ বাকিরা। বলে রাখি, শেষের দিকে ম্যাচ জেতার একরোখা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন ঋত্বিক চ্যাটার্জী। তবে শেষ পর্যন্ত 22 রান করে ইনিংসে দাড়ি টানতে হয় তাঁকেও।
অবশ্যই পড়ুন: পাক বন্ধু আজারবাইজানকে বয়কটের ডাক! জানেন ভারতের ১০০ টাকা সেদেশের মুদ্রায় কত?
উল্লেখ্য, শনিবার 22 গজের ময়দানে ইস্টবেঙ্গলের পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন সবুজ মেরুনের বোলাররা। এদিন লাল হলুদের উইকেটে নজর রেখে দুটি করে সাফল্য ঘরে তুলেছিলেন প্রদীপ কুমার পান, এস যাদব ও অনুরাগ তিওয়ারি। আসলে, সবুজ মেরুনের আগ্রাসী বোলিং আক্রমণের সামনেই মাথা ঠেকিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |