বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: জয়ের সরণিতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে IFA শিল্ডের ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে হার, এরপর সুপার কাপের শুরুতেই গোয়ার স্থানীয় দল ডেম্পোর সামনে ব্যর্থতা, সব নিয়েই একেবারে সমালোচনার শিখরে ছিল লাল হলুদ। সেখান থেকেই সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে (East Bengal FC Vs Chennayin FC) চেন্নাইয়িন এফসিকে 4-0 ব্যবধানে উড়িয়ে ফুটবল কাকে বলে, বোঝালো ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার ডার্বির আগে আজকের ম্যাচে মোহনবাগান কী করতে পারে।
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই চেন্নাইয়িনকে মাঠ ছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল
মঙ্গলবার, গোয়ার ব্যাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়ামে চেনা প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে গিয়েছে অস্কার ব্রুজোর দল। প্রতিপক্ষও যে হাত গুটিয়ে বসে ছিল এমনটা নয়। তবে লাল হলুদের রক্ষণ ভেঙে কাজের কাজ করে দেখাতে পারিনি তারা। বলা ভাল, ম্যাচের প্রথম আধঘন্টা ছিল গোলশূন্য। তারপরেই আক্রমণের তেজ বাড়ায় মশাল ব্রিগেড।
এদিন, 35 মিনিটের মাথায় লাল হলুদের হয়ে গোলের মুখ খোলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার কেভিন সিবিয়ে। বিপিন সিংকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, সেখান থেকেই প্রতিপক্ষের জাল বলে ভরে দেয় লাল হলুদের তারকা ফুটবলার। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্রথম গোল খেয়ে তা শোধ দিতে উঠে পড়ে লাগে চেন্নাইয়িন। তবে বারবার প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছে মশাল সেনা। এভাবেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মাঝে মাত্র 4 মিনিটের ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয় এবং ম্যাচে নিজের প্রথম গোলটি করেন বিপিন সিং। এখানেও তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন নাওরেম মহেশ সিং।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে থেকে আত্মবিশ্বাস একেবারে চওড়া হয়েছিল অস্কার বাহিনীর। কিন্তু তাতে শান্ত হননি বিপিন। ম্যাচ তখন 45 মিনিট পেরিয়ে অতিরিক্ত এক মিনিটে, ঠিক তখনই প্রতিপক্ষের দুর্বল ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দেন বিপিন সিং। মাঠের বাম প্রান্ত থেকে বল পেয়ে বুটের সামনের অংশ দিয়ে সেটিকে গন্তব্য দেখান ইস্টবেঙ্গল তারকা। বিরতির পর বাকি অংশের খেলা শুরু হতেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে পাওয়া গোল হজম করে তা শোধ দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছিল চেন্নাইয়িন। সেই থেকে শুরু করে 90 মিনিট পর্যন্ত আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্যে দিয়ে ব্যবধান বাড়েনি ম্যাচে।
অবশ্যই পড়ুন: গতি ২৮২ কিমি! ‘মন্থা’র মধ্যেই ধেয়ে আসছে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী হ্যারিকেন ‘মেলিসা’
বলা বাহুল্য, ইস্টবেঙ্গলের তিন গোলের পর বাকি 45 মিনিটের খেলায় বারবার লাল হলুদকে আটকানোর চেষ্টা করেছে চেন্নাইয়িন এফসির ছেলেরা। কিন্তু সেই বাধা মানেনি লাল হলুদ। বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের ডিফেন্স কাটিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন লাল হলুদের প্লেয়াররা। তবে 90 মিনিটের মধ্যে কোনও পক্ষেই সাফল্য আসেনি। তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরল অতিরিক্ত 4 মিনিটের খেলাতেই। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়ে অতিরিক্ত সময়ের খেলা একেবারে শেষ প্রান্তে। ঠিক সেই সময়ে বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার এডমুন্ডকে ফাউল করেন চেন্নাইয়িনের প্লেয়ার। আর সেই পেনাল্টিতেই একেবারে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের অভিষেক গোলটি করে দেন হিরোশি হিবুসুকি। তাতেই 4-0 গোলে ম্যাচের ফলাফল লিখে ফেলল লাল হলুদ।












