বিদেশের মাটিতে শেষ চারে যোগ্যতা অর্জনের লড়াই, কোন অঙ্কে সেমিতে পৌঁছবে ইস্টবেঙ্গল?

Published on:

East Bengal FC will play against FK Arkadag with complex Equation

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাত: ঘরের মাঠ যুবভারতীতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে 0-1 ব্যবধানে হারের জের বুধবার আর্কাদাগের বিরুদ্ধে জয় আবশ্যিক হয়ে পড়েছে অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) জন্য। হিসেব বলছে, সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে পাখির চোখ বুধবারের ম্যাচ। সূত্র অনুযায়ী, এই ম্যাচে অন্তত দু গোলের ব্যবধানে জয় তুলতে না পারলে অঙ্কটা আরও জটিল হবে লাল হলুদদের।

আর্কাদাগের ঘরের মাঠে জয় তুলতে পারবে ইস্টবেঙ্গল?

বেশ কিছু সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে AFC চ্যালেঞ্জ লিগে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা যা, তাতে বুধবারের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের দল আর্কাদাগকে কমপক্ষে 2 গোলে হারাতে হবে মেসিদের। হ্যাঁ, এই ঘটনা যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে চাপ বাড়বে লাল হলুদের। ইস্টবেঙ্গল যদি 1 গোলেও জেতে সে ক্ষেত্রে ম্যাচের নিষ্পত্তি হবে ট্রাইবেকারে। এখন প্রশ্ন, আর্কাদাগের মতো শক্তিশালী দলকে তাদের ডেরায় গিয়ে হারানোটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য?

বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, আর্কাদাগ এমনিতেই ক্ষমতাশালী দল। কারণ, 2023 সালের এপ্রিলে পথ চলা শুরু করে ক্লাব অভিষেকের মরসুমে তুর্কমেনিস্তানের এক নম্বর লিগের সমস্ত ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। কেরিয়ারের শুরুতেই এমন কীর্তি খুব কম দলের রয়েছে। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি আর্কাদাগ। পরবর্তী মরসুমেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছিল তারা। সূত্র বলছে, এটি এমন একটি দল যা দ্বিতীয় মরসুমের কোনও ম্যাচেই পরাজয় বা ড্র দেখেনি।

পরিসংখ্যান বলছে এই দলের জয় হয়েছে 100 শতাংশ। যদিও AFC চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বের মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে তারা। তবে আশ্চর্যের বিষয়, দলে কোনও বিদেশি না নিয়ে স্বদেশীদের হাত ধরেই একের পর এক সাফল্য দেখেছে আর্কাদাগ। কাজেই এহেন শক্তিশালী দলকে কার্যত তাদের বাড়ির উঠোনে হারানোটা যথেষ্ট চাপের হবে লাল হলুদদের পক্ষে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

অবশ্যই পড়ুন: IPL জিতেও মেলেনি প্রাপ্য সম্মান! সাইলেন্ট হিরোর তকমা পেতেই KKR নিয়ে বিস্ফোরক শ্রেয়স

আর্কাদাগের দুর্বলতা খুঁজে জয় তুলবে ইস্টবেঙ্গল?

বুধবারের ম্যাচের আগেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল কি পারবে আর্কাদাগের ছেলেদের মাঠছাড়া করতে? এ প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী অস্কার বলেন, শেষ আটে প্রথম পর্বের ম্যাচে আর্কাদাগ আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা দল ছিল। সেই সময়ে তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে খুব একটা বেশি তথ্য ছিল না। কেননা, ওদের মরসুম নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। AFC চ্যালেঞ্জ লিগে আর্কাদাগের ম্যাচ গুলি দেখেছি।

ওরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলে। কোচ অস্কার আরও বলেন, নতুন মরসুমে আর্কাদাগ সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছে। দলে কিছু নতুন ফুটবলারও যোগ হয়েছে। আর্কাদাগ এখন আমাদের চেনা প্রতিপক্ষ। তুর্কমেনিস্তানে আর্কাদাগের ঘরের মাটির ম্যাচ জেতাটা কতটা কঠিন হবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য? উত্তর দিয়েছেন লাল হলুদ কোচ। এ বিষয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে স্প্যানিশ কোচ অস্কার বলেন, আমার দল এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে।

চলতি মরসুমে চোট আঘাতের কারণে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ঠিকই, তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ফুটবলারই দলে রয়েছেন। গোল করার জন্য ওরা মুখিয়ে রয়েছে। নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবে। বুধবার লাল হলুদের আত্মবিশ্বাসী কোচের শেষ সংযোজন, সাধারণত ভারতে যে ধরনের মাঠে আমরা খেলতে অভ্যস্ত তেমন ময়দান পাইনি।

আর্কাদাগের ম্যাচে ছেলেদের অনেক বেশি শারীরিক লড়াই করতে হবে। সেট পিস থেকে গোল হওয়ার আশা থাকছে। আশা করছি বুধবারের ম্যাচ উপভোগ্য হবে। সব মিলিয়ে, অস্কারের বক্তব্যে একথা কার্যত স্পষ্ট যে, সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের ধরে রাখার লড়াইতে শেষ হাসি হাসার আমরণ চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥