দেবপ্রসাদ মুখার্জী: ডুরান্ড কাপেও সমর্থকদের হতাশ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। আশা ছিল, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কামব্যাক করবে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু ISL 2024-25-এর শুরুর একজোড়া ম্যাচ হেরে আপাতত ব্যাকফুটে ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ার আলির অভিষেক হলেও তাতে বিশেষ লাভ পেল না দল। আর সেই কারণে এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা।
গত মরসুমে স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের অধীনে ইস্টবেঙ্গল অল ইন্ডিয়া সুপার লিগে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। সর্বভারতীয় স্তরের একটি ট্রফি জিতলেও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ফের সমর্থকদের হতাশ করেছিল দল। লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচে সত্ত্বেও প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই দলের পারফরম্যান্স ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের মধ্যে যে শুধুই হতাশা বাড়িয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডুরান্ড কাপের পর ISL-এও হতাশ করেছে ইস্টবেঙ্গল
নতুন মরশুমের আগে সমর্থকরা কুয়াদ্রাতের উপর ভরসা রেখেছিল। তবে তাতেও পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া এবং এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টু যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে হেরে ফের ভক্তদের হতাশ করেছে দল। এরপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুতে বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচেও সাফল্য পায়নি ইস্টবেঙ্গল।
চোটের সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল
ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। দলের একাধিক খেলোয়াড়, যেমন প্রভাত লাকরা, নিশু কুমার, নন্দকুমার সেকার, দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস এবং জিকসন সিং, চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি। সাউল ক্রেসপোর ফর্ম এবং ফিটনেসও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফিটনেস কোচকে ছাঁটাই করতে পারে দল
এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের ফিটনেস কোচ কার্লোস জিমেনেজ সানচেজের ভবিষ্যত নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রথম ডিভিশন ক্লাবে কোচিং করার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের ফিটনেস পরিস্থিতি খুব একটা আশানুরূপ নয়। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট খুব শীঘ্রই সানচেজকে ছাঁটাই করতে পারে এবং তার জায়গায় আইএসএলে অভিজ্ঞ ফিটনেস কোচ নিয়োগ করা হতে পারে।