সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens) মানে গৌরবের প্রতীক, বাংলার গর্ব! তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইডেন যেন এক নয়া রূপ নিল। হ্যাঁ, ক্রিকেটের চেয়ে উত্তাপ বেশি ছিল এদিন মানুষের ব্যবহারে। কারণ মাঠে খেলা নয়, চলল ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ আর চিৎকার! এমনকি ড্রেসিং রুম পর্যন্ত অশান্তির আঁচ পৌঁছে গেল। কিন্তু কি এমন হলো বাংলার ক্রিকেটে, যা কলঙ্কে পরিণত হল?
ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর নিয়েই শুরু
আসলে বৃষ্টিতে বারবার বিঘ্নিত হওয়া সিএবির প্রথম ডিভিশন লীগের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই বড় ক্লাব – ইস্টবেঙ্গল এবং ভবানীপুর। বৃষ্টির জেরে ম্যাচের ফয়সালা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তাই উভয় দলকেই যুগ্ম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সিএবি।
জানিয়ে রাখি, প্রথম ইনিংসে ভবানীপুর 643/6 উইকেটে ডিক্লেয়ার করেছিল। জবাবে ইস্টবেঙ্গল করে 239/8। পাঁচ দিনের ওই ম্যাচের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর সেদিনই ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসাবে লেখা থাকবে।
মাঠ পরিণত হল রণক্ষেত্রে
সেদিনের খেলায় ইস্টবেঙ্গলের ঋত্বিক চ্যাটার্জির সঙ্গে ভবানীপুরের শাকির হাবিব গান্ধীর মধ্যে ঘটে চরম বচসা। হ্যাঁ, দ্বিতীয় দিনের খেলার সময় শাকিবের আউট নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। আর তা যে এরকম চড়মে পৌঁছবে, তা কেও ভাবতেই পারেনি। এমনকি মাঠের অশান্তি গিয়ে থামে ড্রেসিং রুমে। সেখানে দুই দলের কর্তারাও অংশ নেয়। কথার লড়াই থেকে শুরু হয় হাতাহাতি।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! মিলল ছাড়পত্র, ভারতে চালু হচ্ছে মাস্কের স্টারলিঙ্ক পরিষেবা
তবে ঘটনার পর পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে, সিএবি কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে পরিস্থিতি গড়িয়েছিল, তাতে আমাদের হাতে আর কিছুই করার ছিল না। মাঠে সিকিউরিটি ছিল, তবুও যা ঘটলো তা লজ্জাজনক। আর এই ঘটনার পর অনেকেই সিএবির ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
এদিকে রঞ্জি ট্রফি বিজয়ী প্রাক্তন অধনায়ক সম্বরণ ব্যানার্জি বলেছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটি কোনও ক্রিকেট হতে পারে না। আমাদের খেলার প্রতি সম্মান রাখা দরকার। তার গলায় ফুটে উঠেছে হতাশার স্বর। পাশাপাশি লাল হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার অভিযোগ করেন, সৃঞ্জয়ের আচরণ জঘন্য। ওকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল। ওরা সীমা অতিক্রম করছে। এভাবে চলতে পারে না।