রবিবার ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর কলকাতার ফুটবল সমর্থকদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল রাস্তায়। কারণ সেই ম্যাচে স্টেডিয়ামে আরজি করের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর একটা কর্মসূচি নিয়েছিলেন ফুটবল সমর্থকরা। তবে ম্যাচ বাতিল হওয়ার কারণে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা একযোগে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন রাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় সমর্থকদের। তবে এদিন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মাঝে বিবাদ ছিল না, এদিন ছিল শুধুই ঐক্যের লড়াই। আর এবার ফুটবল সমর্থকদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল মঙ্গলবার। যে ঘটনা ঘিরে আবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে কলকাতার ফুটবল।
মঙ্গলবার কলকাতা লিগের একটি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও রেনবো এফসি। এই ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। সূত্রের খবর, প্রথমার্থে সম্প্রচার ঠিকঠাক হলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে। শেষ পর্যন্ত সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। আর এই ঘটনার কারণে কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ, ম্যাচের মাঝে এভাবে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটেনা। আর ডার্বি বাতিল হওয়ার পর এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন ফুটবল সমর্থকরা।
কলকাতা লীগের ম্যাচের ফলাফল ২-০
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল এফসি ও রেনবো এফসির ম্যাচ শুরু হয় বৃষ্টির মধ্য দিয়ে। ম্যাচের শুরু থেকেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামে মাঠে। ফলে খড়লার শুরুতেই বিঘ্ন ঘটে। ভেজা মাঠে খেলতে সমস্যার সম্মুখীন হন খেলোয়াড়রা। তবে ফাই দলই প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকে। কোনও দলই ডিফেন্স আলগা করেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে লাল-হলুদের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের হাফ-টাইমের পর একজোড়া গোল করে ইস্টবেঙ্গল। একটি গোল করেন সঞ্জীব আশিক। শেষমেষ কলকাতা লিগের এই ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
কেন বন্ধ হয় ম্যাচের সম্প্রচার?
ম্যাচ শুরুর পর থেকে গোটা প্রথমার্ধ লাইভ সম্প্রচার হয়। সেই সময়ে কোনও সমস্যা ছিল না। সমস্যার সূত্রপাত হয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। হাফ-টাইমের পর খেলা শুরু হতেই ইস্টবেঙ্গলের এই ম্যাচের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সম্প্রচার বন্ধের ঘটনাটি ঘটে। তবে সমর্থকদের একাংশ অভিযোগ করেছেন যে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, এরকম ম্যাচে ব্যাকআপ বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়।