মাত্র এক সপ্তাহ, এরইমধ্যে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। মোহনবাগানের অন্দরে হাসিখুশি থেকে নেমে এসেছে হারের শোক। মঙ্গলবার ওড়িশার কাছে হেরে যাওয়ার কারণেই সমস্যা এসেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। বুধবার দিন ভুবনেশ্বর ছাড়েন মোহনবাগান তারকারা। এবার ফিরতি পর্বের ম্যাচ রয়েছে যুবভারতীতে। সেখানে বড় জয় না পেলে ফাইনালে উঠতে পারবেনা হাবাসের দল।
এদিকে আগামী ৬ জুন নাগাদ কুয়েতের সাথে ম্যাচ রয়েছে ভারতীয় দলের। সেই ম্যাচও আয়োজিত হবে এই যুবভারতীতেই। স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের মাঠে জয় পেতে মরিয়া ভারত। ঘরের মাঠের শব্দব্রহ্ম যেমন ভারতকে উৎসাহ যোগাবে তেমনই মোহনবাগানকেও ভরসা দেবে। বিষয়টি সম্পর্কে অধিনায়ক শুভাশিস বসুর কথায়, ‘‘আমরা ঘুরে দাঁড়াবোই। কলকাতায় নিজেদের দর্শকদের সামনে জিতে আইএসএলের ফাইনালে উঠব।’
উল্লেখ্য ওড়িশার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে মোহনবাগান। তাই রোববার ফিরতি ম্যাচে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে শুভাশিসদের। ম্যাচ যদি ড্র হয়ে যায় তখন প্রথমে অতিরিক্ত সময় এবং পরে টাইব্রেকার হবে। তবে ওড়িশাকে হারানো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কোচ হাবাস। তিনি বলেন, ‘‘একটা গোল করলেই ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। আমাদের লক্ষ্য ৯০ মিনিটের মধ্যে দু’গোল করে সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার। তবে অতিরিক্ত সময়ে খেলার জন্যও মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে নামতে হবে।’’
সেমিফাইনালে হারের কারণ জানান হাবাস
মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হারার কারণ সম্পর্কেও মুখ খোলেন হাবাস। তার মনে হয় যে, প্রথম তিন মিনিটে গোল করে আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ে দল। সেইসাথে ছিল বেশ কিছু ভুল, তার জন্যই হারের মুখ দেখতে হয়েছে হাবাসদের। কোচের কথায় সায় দেন মোহনবাগানের মিডফিল্ডার জনি। তিনি বলেন, ‘‘গোল খাওয়ার পর আমরা ওদের ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিই।’ অবশ্য ফুটবলে এ রকম হয়েই থাকে। আশা করছি, দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে আমরা আরও ভাল খেলা উপহার দেব।’’
আরও পড়ুনঃ বড় বদল নিশ্চিত, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেমন হবে KKR-র একাদশ? রইল সম্ভাব্য দল
এদিকে মোহনবাগানের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে লাল কার্ড। এর কারণে সেমিফাইনানের দ্বিতীয় পর্বে আর্মান্দো সাদিকুকে পাচ্ছে না বাগান। তবে জেমস কামিংস প্রথম থেকেই খেলতে পারেন। অন্যদিকে বাগান শিবিরের জন্য সুখবর হল যে, এবার প্রথম একাদশে ফিরতে চলেছেন সাহাল আবদুল সামাদ।