বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: খারাপ আবহাওয়ার কারণে 4 ওভার 5 বলেই থেমে গিয়েছিল ভারতের ম্যাচ। এরপর প্রবল বৃষ্টিতে আর শুরু করা যায়নি খেলা (India Vs Australia)। তাতে ভারতীয় ভক্তরা ম্যাচ উপভোগ করতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে অসুবিধা হল না টিম ইন্ডিয়ার। কেননা, প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা অনেক আগেই করে রেখেছিল সূর্যকুমার যাদবের দল। ফলে 2-1 ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই অজিদের সিরিজ জেতার স্বপ্নে জল ঢেলে দিল ভারত।
পরপর দুই ম্যাচ জিতেই ভাগ্য লিখল ভারত
বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অপ্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। যদিও সেই পরাজয়ের জ্বালা তৃতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছিলেন অভিষেক শর্মারা। অস্ট্রেলিয়ার বুকের উপর দাপাদাপি করে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জেতার পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিল ভারত। শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে 48 রানে হারিয়ে সিরিজে চালকের আসনে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকেই সিরিজটাও পকেটে পুরে নিল তারা।
বলাই বাহুল্য, শনিবার যেকোনও প্রকারে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। আর সেটা হলেই সিরিজ ড্র করার স্বপ্ন রক্ষা করতে পারতেন মিচেল মার্শরা। তবে এদিন অস্ট্রেলিয়াকে রুখে দিল প্রকৃতি। শনিবার যেন ভারতের হয়েই অজিদের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো খারাপ আবহাওয়া। যার জেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে 4 ওভার 5 বল পর্যন্ত বিনা উইকেটে 52 রান করেই মাঠ ছেড়েছিল ভারত। এরপর আর ম্যাচ আয়োজন করা যায়নি। যার জেরে ম্যাচ জয়ের পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই গোটা সিরিজটাই পকেটস্ত করল ভারত।
অবশ্যই পড়ুন: হ্যাক হতে পারে এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো, সতর্ক করল কেন্দ্র! বাঁচতে কী করবেন দেখুন
17 বছরের রঙিন ধারা অব্যাহত রাখল ভারত
শনিবার ভারতীয় দলে তিলক বর্মার বদলে জায়গা পেয়েছিলেন দুর্দান্ত ফিনিশার রিঙ্কু সিং। তবে এদিন প্রকৃতি রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় ব্যাট করার ইচ্ছে পূরণ হল না তাঁর। তবে সেই স্বপ্ন ধরতে না পারলেও দলের জয়টা বেশ ভালই উপভোগ করছেন রিঙ্কু। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর দীর্ঘ 17 বছরের ইতিহাস অক্ষুণ্ন রাখল টিম ইন্ডিয়া। না বললেই নয়, 17 বছরে আজ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনওই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি ভারত। এবারেও স্বদেশীদের সেই রেকর্ডে দাগ কাটতে পারল না ক্রিকেটের সুপার পাওয়ার হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া।












