দেবপ্রসাদ মুখার্জী: সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে ম্যাচের চালকের আসনে রয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসের শুরুতে ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়লেও বড় স্কোর করেছে টিম ইন্ডিয়া। আর ভারতীয় বোলারদের বোলিংয়ের দাপটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশকে মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে বুমরাহর ৪ উইকেট নেওয়া ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও চেন্নাইয়ের চেপক স্টেডিয়ামের পিচ পেসারদের জন্য বাড়তি সুবিধা কিছুই দেয়নি। তবুও বুমরাহ তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে উইকেট নিয়ে ধরাশায়ী করেন টাইগারদের। পিচ থেকে সুবিধা না পেয়েও কিভাবে দুর্দান্ত স্পেল করলেন এই ভারতীয় ফাস্ট বোলার? এর উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে সাংবাদিকদের সামনে নিজের বোলিংয়ের কৌশল নিয়ে মুখ খুললেন বুমরাহ।
কঠিন পিচে কিভাবে সফল জসপ্রীত বুমরাহ?
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে বুমরাহ ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন লেনথে বল করছিলাম, তখন দেখলাম তেমন কোনো সুবিধা হচ্ছে না। বল রিভার্স সুইংও হচ্ছিল না। তাই আমার সামনে অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যা আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় শিখেছি। তাই কৌশল বদলে ভিন্নভাবে বল করার চেষ্টা করি, এবং সেটাই আজ সফল হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বুমরাহ’র নামে ৪০০ উইকেট
প্রথম টেস্টে নেওয়া ৪ উইকেটের মাধ্যমে জশপ্রীত বুমরাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক পেরলেন। ভারতের ১০ ম বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। আর এই নতুন নজির গড়ে বুমরাহ বলেন, “একজন বোলার হিসেবে সব সময় কিছু না কিছু শেখার সুযোগ থাকে। পিচ থেকে যখন সহায়তা মেলে না, তখন বল করার ধরণ পরিবর্তন করতে হয় এবং নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হয়। আজ আমি সেটাই করেছি এবং ফলাফল আমার পক্ষে এসেছে।”
চেন্নাইয়ের পিচে নতুন রেকর্ড
চেন্নাইয়ের চেপক স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচে দ্বিতীয় দিনে বোলারদের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার মোট ১৭টি উইকেট পড়েছে, যা চেপকে একদিনে সর্বাধিক উইকেট পড়ার নতুন রেকর্ড। এর আগে ১৯৭৯ সালে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের তৃতীয় দিনে ১৫টি উইকেট পড়েছিল, যা ছিল আগের রেকর্ড। বুমরাহর এই পারফরম্যান্স ভারতের পেস আক্রমণের দাপটে বাংলাদেশ দল বড় রানের লক্ষ্যের দিকে যেতে পারেনি। এই কারণে এই ম্যাচে মোটামুটি চালকের আসনে দখল করেছে ভারত।