আর কয়েক দিনের মধ্যেই আইপিএলে (IPL 2025) অংশ নিতে চলা সব দলগুলো জমা করতে হবে তাদের রিটেইন করা প্লেয়ারদের নামের তালিকা। কলকাতা নাইট রাইডার্সকেও (KKR) তাই করতে হবে। এবারে বিসিসিআইয়ের (BCCI) করা নিয়ম অনুযায়ী, গতবারের স্কোয়াড থেকে সর্বোচ্চ ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে।
রিটেইন করার নিয়ম কী?
পাঁচজনকে সরাসরি রিটেইন, আর একজনকে দলে নেওয়া যাবে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে। এবার কোনো দল যদি তিনজন ক্রিকেটারকে সরাসরি রিটেইন করে, তাহলে বাকি তিনজনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে ওই রাইট টু ম্যাচ কার্ড।
কলকাতা কোন ছয়জনকে ধরে রাখতে চাইছে?
এখনও পর্যন্ত যা জল্পনা তাতে শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer) বেগুনী শিবিরে আরও অন্তত একটা মরশুম দেখতে পাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। গতবার তাঁর অধিনায়কত্বে আইপিএল খেতাব জিতেছিল কেকেআর। ফলে শ্রেয়সকে ছাড়তে না চাওয়ার পিছনে কারণ রয়েছে। আরও দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে যাদের নাইট রাইডার্স রিটেইন করতে পারে।
নারিন (Sunil Narine) ও ‘দ্রে রাস’ (Andre Russell)
আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিনকেও হয়তো কলকাতার এই ফ্রাঞ্চাইজির নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারে। নাইট পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত এই দুই ক্যারিবিয়ান। বয়স হলেও ক্লাব ক্রিকেটে এখনও ম্যাচের রঙ বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন দু’জনেই। গত মরশুমে তাঁর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। নারিন এখন শুধু বোলার নন, একজন বিস্ফোরক ওপেনার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হাঁকিয়েছেন শত রান। ব্যাট বলে দুই ক্ষেত্রেই দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারেন। গতবারের টুর্নামেন্টে ১৫ ম্যাচে ৪৮৮ রান করেছেন, গড় ৩৪.৮৫। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি, তিনটি হাফ সেঞ্চুরি।
রাসেলের ব্যাট ছিল কিছুটা নিষ্প্রভ। কিন্তু বল হাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। আগেরবার নিয়েছিলেন মোট ১৭টি উইকেট , ইকোনমি রেট ৬.৬৯ এবং গড় ২১.৬৪। ফলে রাসেল, নারিন এই দু’জনকেও ধরে রাখার পিছনে যুক্তি রয়েছে।
কিন্তু রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) কী হবে?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেই রিঙ্কু সিং নিজেকে চিনিয়েছিলেন। নাইটদের বহু ম্যাচের ত্রাতা এই রিঙ্কু। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যত্ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নাইট শিবির তাঁকে ধরে রাখতে চাইছে না, এমনটাও জোর দিয়ে বলার কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত নেই।