কলকাতার পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে পাঞ্জাব কিংসের সাথে। কিন্তু আগের ম্যাচ অর্থাৎ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সাথে ম্যাচের মত হাইপ তৈরি হয়নি। বিরাট কোহলির দল নেটে প্র্যাক্টিস করতে এলে গেটের সামনে বেশ ভিড় জমে ছিল। পাঞ্জাব ম্যাচের আগে তার বিন্দুমাত্র দেখা মিলল না। অবশ্য তার একটা বড় কারণ এটাই যে, সেই অর্থে পাঞ্জাব কিংসের কাছে বড় তারকা নেই।
শুক্রবার ম্যাচ রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে। আর এদিন যদি পাঞ্জাব ম্যাচ হেরে যায় তাহলে তাদের প্লে অফে যাওযার আশা প্রায় শেষ বলা চলে। তবে শেষ ম্যাচ অর্থাৎ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলেও স্বস্তি নেই কলকাতা শিবিরের। কারণ দলের অন্যতম বড় তারকা, মিচেল স্টার্কের বাঁ হাতের আঙুলে চোট। অনুশীলন করতেও দেখা গেল না তাকে।
পুরো টুর্নামেন্টে স্টার্ক প্রচুর রান দিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচেও শেষ ওভারে বল করতে এসে তিনটি ছক্কা খেয়ে যান তিনি। ছয় ম্যাচ পেয়েছেন মাত্র ৭টি উইকেট। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার পরিবর্তে বেশ সমস্যায় ফেলেছেন তিনি। ম্যাচের আগে নেটে দেখা গেলেও বল করলেন না তিনি। অন্যদিকে টানা বল করে গিয়েছেন শ্রীলঙ্কান পেসার দুষ্মন্ত চামিরা। চোটের কারণে স্টার্ক বাদ পড়লে চামিরা খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার আবার ধারাবাহিকতার সমস্যায় পড়েছেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি ৩৬ বলে ৫০ রান করেন। বেশ অনেকটা সময় নেটে প্র্যাক্টিস করতে দেখা গেল তাকে। সাথে এদিন মাঠে নামেন আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংহ, সুনীল নারিনও। আর প্রত্যেকের ওপর কড়া নজর রাখছিলেন মেন্টর গৌতম গম্ভীর।
আরও পড়ুনঃ দর্পচূর্ণ চিনের! এবার মুকেশ আম্বানি যা করলেন, বিশ্বে এক নম্বরে পৌঁছল ভারত
নেট প্র্যাক্টিসে এসেছিলেন নারিন, তিনি ব্যাটের সাথে সাথে বোলিংয়েও হাত ঘোরালেন। ব্যাট করলেন বেঙ্কটেশ আয়ার এবং ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেল। তাদের বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে দেখা গেল। কলকাতার পাশাপশি এদিন প্র্যাক্টিস করতে আসে পঞ্জাব কিংস। দুই দল প্র্যাক্টিস করে দু দিকের নেটে। এখন দেখার শুক্রবার ম্যাচ জিতে প্লে অফের দিকে এগিয়ে যায় কলকাতা, নাকি ম্যাচ জিতে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখে পাঞ্জাব।