বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হরিয়ানাকে আটকাতে বৃহস্পতিবার সব রাস্তায় ঘুঁটি সাজিয়ে রেখেছিল বাংলা। তবে তা সত্ত্বেও ঘরামির দলকে নাস্তানাবুদ করে 300-র দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় হরিয়ানা। যদিও ভিন রাজ্যের ছেলেদের পথে কাঁটা ছড়িয়েছে অভিজ্ঞ মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) বোলিং। এদিন পুরনো চোট ভুলে শত্রু শিবিরে একের পর এক আঘাত হেনেছেন শামি। ভেঙেছেন একাধিক উইকেট। আর বিজয় হাজারের এই সাফল্যই তাঁর ভাগ্যের চাকাকে কিছুটা ঘোরাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
পার্থ এবং সিন্ধুর কাঁধে চেপে বড় লক্ষ্য বাঁধে হরিয়ানা
বৃহস্পতিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা ভালই হয়েছিল বাংলার। টস ভাগ্য সঙ্গ দেওয়ায় হরিয়ানাকে ব্যাট করতে মাঠে নামায় সুদীপ ঘরামির দল। এদিন হরিয়ানায় চাহাল না থাকলেও সুযোগ পেয়েছেন তরুণ প্রতিভা পার্থ বৎস। বিজয় হাজারের মঞ্চে প্রথম শুরুটাই শক্ত হাতে করেছেন পার্থ।
বাংলার ছেলেদের ব্যাটিং দাপট দেখিয়ে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন হরিয়ানার পার্থ বৎস এবং নিশান্ত সিন্ধু। এদিন সুযোগ পেতেই 6টি বাউন্ডারি সহযোগ 77 বলে 62 রান তোলেন পার্থ। সিন্ধুর ব্যাট থেকেও এদিন 64 রানের বড় ইনিংস উপহার পেয়েছিল হরিয়ানা। সেই সুবাদে দুই ব্যাটারের কাঁধে ভর করে নির্ধারিত 50 ওভারে 9 উইকেট খুইয়ে বোর্ডে 298 রান ঝুলিয়ে দেয় হরিয়ানা। অর্ধ শতরানের গণ্ডি না ছুঁলেও এদিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন হরিয়ানার বাকিরাও।
বাংলার হয়ে জ্বলে উঠলেন শামি
বিজয় হাজারের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাট হাতে মাঠ দখলকারী হরিয়ানার ছেলেদের বড় লক্ষ্য ছোঁয়ার আগেই আটকে দিয়েছে বাংলার বোলিং দাপট। এদিন 10 ওভার বল করে মাত্র 61 রানে 3টি উইকেট ছিনিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় তারকা মহম্মদ শামি। দীর্ঘদিন চোট যন্ত্রণা নিয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন শামি। যার কারণে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দলের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
একটু ফিট হয়েই নিজস্ব অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছিলেন শামি। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও তার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজকে লক্ষ্য বানিয়ে নিজস্ব দক্ষতাকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন ভারতের অভিজ্ঞ তারকা। বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচের আগে চলেছিল দীর্ঘ অনুশীলন। আর সেই আমরণ চেষ্টার ফল পেলেন বিজয় হাজারের বাংলা বিরুদ্ধে ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নিতে পারেন মহম্মদ শামি
এদিন শামির আক্রমণাত্মক বোলিং দেখে বোঝা যাচ্ছিল এতদিন উইকেট নেওয়ার খিদে তাঁকে কীভাবে কুরে কুরে খেয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিজয় হাজারের ম্যাচগুলিতে নিজেকে সেরা পেসার হিসেবে মেলে ধরতে চাইছেন শামি। বলা হচ্ছে, এই চেষ্টাই তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও ওডিআইয়ের পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতীয় দলে জায়গা দেবে।
উল্লেখ্য, শামি ছাড়াও এদিন বাংলার জার্সি গায়ে উইকেট ভেঙেছেন মুকেশ কুমাররা। মাত্র 46 রান দিয়ে 9 ওভারে 2টি উইকেট তুলেছেন মুকেশ। পাশাপাশি বাংলার ছেলে সায়ন ঘোষ, প্রদীপ্ত প্রামানিক এবং কৌশিক মাইতিরা যথাক্রমে 1টি করে উইকেট শিকার করেছেন। 8 ওভারে মাত্র 44 রান দিয়ে দলকে আরও 1টি উইকেট উপহার দিয়েছেন করণ লালও।