১০-১ ব্যবধানে লজ্জার হার মোহনবাগানের, সেমিফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল

Published:

Mohun Bagan-East Bengal News
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সকালে বেঙ্গালুরু, বিকেলে ইস্টবেঙ্গল, পরপর দুই দলের সেমিফাইনাল টিকিট নিশ্চিত হলেও হেলায় স্বপ্ন ভাঙল মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। বড়দের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা আয়োজিত অনূর্ধ্ব-15 জুনিয়র লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বিধ্বস্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়ল বাগানের ছেলেরা।

বুধবার সকালে বেঙ্গালুরু এফসির সমবয়সীদের কাছে 10-1 গোলের ব্যবধানে হেরে ছিটকে গেল সবুজ মেরুন। অন্যদিকে বিকেলের লড়াইয়ে মুম্বই সিটি এফসিকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল দুর্ভাগ্যের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল।

লজ্জার হার মোহনবাগানের

বুধবার সকালে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত অনূর্ধ্ব-15 জুনিয়র লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই মাঝমাঠে ক্ষমতা দেখিয়ে গিয়েছে ভিন রাজ্যের ছেলেরা। বাগান প্লেয়ারদের একপ্রকার চাপে রেখেই একের পর এক গোল করে গিয়েছে হৃষীকেশ চরনরা।

গতকাল ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই বাগানকে নাকানি চোবানি খাইয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চরন। পরবর্তীতে একের পর এক জোরালো আক্রমণ শানিয়ে মোহনবাগানকে এক প্রকার কাহিল করে ফেলে বেঙ্গালুরু। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ম্যাচের স্কোর হয়ে দাঁড়ায় বেঙ্গালুরু 7, মোহনবাগান শূন্য। পরবর্তীতে বাগানকে আরও কয়েক ঘা দিতে সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমনে নামে বেঙ্গালুরুর ছেলেরা।

এদিন বেঙ্গালুরুর হয়ে চরনের পাশাপাশি পৃথ্বীরাজ, শ্রেয়স, আদিত্য, অর্ণব ও সাহিলরা বল পায়ে সাফল্য পেয়েছেন। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র এক গোল করে নিজেদের সান্ত্বনা দিয়েছে মোহনবাগান। তবে ম্যাচ শেষে 10-1 ব্যবধানে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে বেঙ্গালুরুরই। যার জেরে সহজেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ভিন রাজ্যের ছোটরা।

অবশ্যই পড়ুন: অভিভাবক হারাচ্ছে বাংলাদেশ! ইউনূস পদত্যাগ করলে দেশ চালাতে পারেন এই ব্যক্তি

বাগানের ব্যর্থতায় সেমিফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল

বুধবার সকালে মোহনবাগানের ব্যর্থতার খবর নিশ্চয়ই পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। হয়তো সেই সংবাদকে শক্তি বানিয়ে বিকেলে প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে সপাটে আক্রমণ সানায় লাল হলুদ। তবে শুরুর দিকে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল মুম্বই। তবে পরবর্তী 24 মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে ভুলিয়ে গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের আভারা দে। এভাবেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউটে পৌঁছয় দুই দল। আর এর পরই একের পর এক সফল শট নিয়ে 5-4 ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে মশাল বাহিনীর খুদে দল।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join