ন্যায্য ছিল সামাদের গোল? মোহনবাগান, ওড়িশার ম্যাচ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Published on:

sahal-goal

গতকাল অর্থাৎ রবিবারের রাত মোহনবাগান সমর্থকরা কিছুতেই ভুলতে চাইবে না। গতকাল ছিল তাদের স্বপ্নপূরণের রাত্রি। প্রথমে শিল্ড জয় এবং এরপর আইএসএলের ফাইনালে ওঠা। মোহনবাগানের সমর্থকরা উত্তেজনায় ফেটে পড়েন। যুবভারতীতে ওড়িশা এসফির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে জয় লাভ করে হাবাসর দল। সাধারণ জয় নয়, ওড়িশা এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় তারা।

WhatsApp Community Join Now

প্রথম পর্বে ১ গোলে পিছিয়ে থাকায় জয় পাওয়া সহজ ছিল না মোহনবাগানের কাছে। ওড়িশা এফসি এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ম্যাচে ওড়িশা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। ফাইনালে উঠতে হলে মোহনবাগানকে অন্তত ২-০ গোলে হারাতে হতো। অবশেষে সেই জয় পেয়েছে তারা। দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ গোলে জয়লাভ করেছে বাগান।

ISL-র ফাইনালে মোহনবাগান

মোহনবাগানকে জয় এনে দেন জেসন কামিন্স এবং সাহাল আবদুল সামাদ। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে সামাদের গোল নিয়ে। গোল ন্যায্য ছিল কিনা তাই নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলতে থাকেন ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিং। ম্যাচের শুরুর দিকে জেসন কামিন্সের গোলে মোহনবাগান এবং ওড়িশার স্কোরকার্ড ২-২ হয়ে যাওয়াতে চাপ বাড়তে থাকে দুই দলের মধ্যে। কিন্ত শুরু থেকেই এই ম্যাচে নিজেদের দাপট বজায় রাখে মোহনবাগান।

৯৩ মিনিটে গোল করেন আবদুল সামাদ

চাপের মুহুর্তে বাগানকে জয় এনে দেন আব্দুল সামাদ। ৯৩ মিনিটে গোল করেন তিনি। আসলে হয়েছে কি, ডানদিক থেকে মনবীরের ভাসানো বল প্রথমে অমরিন্দরের হাতে লাগে। কিন্তু গোলকিপারের হাত থেকে সেই বল ফস্কে বেরিয়ে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সামাদ, তার গায়ে লেগে বল ঢুকে যায় গোলপোস্টে। আর এই গোল আদৌ ন্যায্য কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন ওড়িশার গোলকিপার।

অমরিন্দরের দাবী, এই বল সাহালের হাতে লেগেছে। এজন্য এই গোলকে হ্যান্ডবল হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ। কিন্তু ম্যাচ রেফারি অমরিন্দরের কথা শোনেননি। মুহুর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি, ম্যাচের ফলাফল বাগানের পক্ষেই আসে। পরে দেখা যায়, বল সাহালের হাতে লাগেনি। ম্যাচ জেতার পর বাগান সমর্থকরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন।

সঙ্গে থাকুন ➥