বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ‘ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একটা সময় জড়িত ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।’ মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষের আবহে বার পুজোর সময় এমন দাবিই করেছেন লাল হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। প্রতিবেশী মোহনবাগানের সাফল্য সহ্য করতে পারছেন না, তাই এইসব ভুলভাল অযৌক্তিক কথা? স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তার বক্তব্যের পরই কার্যত এমন বাক্যেই তাঁকে নিশানা করেছেন অনেকে! সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে দেদার ট্রোলিং! এমন আবহে, এবার নিজের বক্তব্যের পিছনে বড় যুক্তি খাড়া করলেন লাল হলুদ প্রধান দেবব্রত।
স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বড় বক্তব্য লাল হলুদ কর্তার
ক্লাবের বার পুজোর দিন আচমকা লাল হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকারের গলায় শোনা যায় ভিন্ন সুর। ইস্টবেঙ্গল প্রধান বলতে শুরু করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন দাস, স্বামী বিবেকানন্দ অনেকেই ইস্টবেঙ্গলের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁরাই আসল লড়াইটা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদের, বর্তমানে তাঁদের দেখানো পথে হেঁটেই লড়ছে ইস্টবেঙ্গল।
গতকাল বাঙালির আবেগের সাথে লাল হলুদের সম্পর্ক কতটা দৃঢ় তা বোঝাতেই এমন বক্তব্য করেছিলেন দেবব্রত। তবে লাল হলুদ কর্তার সেই বক্তব্যকে ভিন্ন আঙিনায় নিয়ে গিয়েছেন নেট নাগরিকরা। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে দেদার ট্রোলিং।
নেট নাগরিকদের পাল্টা যুক্তি
মঙ্গলবার স্বামীজিকে নিয়ে দেবব্রত সরকারের বড় বক্তব্যের পর নেট নাগরিকরা পাল্টা যুক্তি বসিয়েছেন। তাঁদের সিংহভাগেরই দাবি, একেবারে ডাহা মিথ্যে কথা বলছেন দেবব্রতবাবু! নেপথ্যে যুক্তি হিসেবে নেটিজেনদের বক্তব্য, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তৈরি হয়েছিল 1920 সালে। আর স্বামীজি ইহলোক গমন করেছেন 1902-তে। অর্থাৎ হিসেব যা বলছে লাল হলুদ ক্লাব তৈরীর অন্তত 18 বছর আগে স্বর্গীয় হয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ।
তাহলে কীভাবে মৃত্যুর পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি? পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনও হয়েছে অনেক পরে। কাজেই বাস্তবের সাথে লাল হলুদ কর্তার বক্তব্যের এক চুলও মিল খুঁজে পাচ্ছেন না নেট নাগরিকরা। এবার নেট নাগরিকদের বোঝাতেই বড় যুক্তি জোগালেন দেবব্রত।
অবশ্যই পড়ুন: হারের ম্যাচেই গর্বের রেকর্ড নারিনের! IPL-এ নয়া ইতিহাস লিখলেন KKR তারকা
কী বোঝালেন লাল হলুদ কর্তা?
সমর্থকরাই যুক্তি মানছে না! তাই নিজের বক্তব্যকে আরও কিছুটা খোলসা করলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। এদিন বিকেলের দিকে দেবব্রত বাবুর সাথে বাংলার এক দৈনিক সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের পূর্ব বক্তব্য ভেঙে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা সময় ইস্টবেঙ্গলে ফুটবলার পাঠাতেন। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ক্লাবের উন্নতির জন্য বহুবার অর্থের যোগান দিয়েছেন। অন্যদিকে স্বামী বিবেকানন্দর রামকৃষ্ণ মঠ থেকে বহু ক্রিকেটার, ফুটবলার আসতো।
লাল হলুদ কর্তা জানান, স্বামীজীর মঠ থেকে যেহেতু খেলোয়াড়রা ইস্টবেঙ্গলে আসছেন, সেই সূত্র ধরেই স্বামীজীর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও লাল হলুদ কর্তার পাল্টা যুক্তি মেনে নিতে নারাজ নেট নাগরিক থেকে শুরু করে বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |