দেবপ্রসাদ মুখার্জী: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম জয়ের সন্ধানে ইস্টবেঙ্গল। একজোড়া ম্যাচ খেলেও এখনো ISL 2024-25 টুর্নামেন্টে জয় পায়নি লাল হলুদ শিবির। আনোয়ার আলিকে মাঠে ফিরিয়ে এনেও জয়ের মুখ দেখেনি ক্লাবের ছেলেরা। আর এবার ইস্টবেঙ্গলের জন্য তৈরি হল বাড়তি চাপ। ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার সউল ক্রেসপো বর্তমানে জ্বর নিয়ে ভুগছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের ম্যাচের আগে থেকেই জ্বর নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। তীব্র জ্বরের মধ্যেও তিনি ওই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। তাই এবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে মাঠে নামানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ক্রেসপো?
এফসি জিক্যা ম্যাচের আগে মঙ্গলবার সউল ক্রেসপো অনুশীলন করতে পারেননি। সূত্রের খবর, তাঁর জ্বর এখনও কমেনি। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, সউলের ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া টেস্ট করানো হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি হয়তো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি, পরপর তিনদিন তাঁর ডেঙ্গু টেস্ট করা হচ্ছে। পঞ্চম দিনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, বুধবারের পরীক্ষার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট কী আসে, তার উপরই সবকিছু নির্ভর করছে। সাধারণত চূড়ান্ত রিপোর্টেই নিশ্চিত হওয়া যায়। যদি তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে, তবে শুক্রবারের ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
আসন্ন ম্যাচে অনিশ্চিত আরো এক তারকা
অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের আরেক ফুটবলার, দিমান্তাকোসও হয়তো এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবেন না। কারণ তাঁর পায়ের পেশিতে চোট রয়েছে। মঙ্গলবার করা এমআরআই রিপোর্টেও চোটের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবারের অনুশীলনে দেখা গেছে, ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স লাইন আপে গুরসিমরাত সিং ফিল ও মার্ক জোথানপুইয়া সাইড ব্যাক হিসেবে খেলবেন, আর হেক্টর ইউন্তে ও আনোয়ার আলি থাকবেন সেন্টার ব্যাকে। মাঝমাঠে থাকবেন জিকসন, মাদিহ তালাল ও নাওরেম মহেশ সিং, আর আক্রমণে ক্লেইটনের সঙ্গে দুই উইংয়ে খেলবেন নন্দা ও বিষ্ণু।
অভিজ্ঞ গোলরক্ষককে খেলাতে পারে ইস্টবেঙ্গল
এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার অবশেষে চলতি ISL-এ প্রথমবারের মতো মাঠে নামার সুযোগ পেতে পারেন। কেরালার বিরুদ্ধে প্রভসুকান গিল ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারেননি। বিশেষত দুইটি গোলই তিনি প্রথম পোস্টে পেয়েছেন। তাই, গিলের পরিবর্তে দেবজিৎ মজুমদারকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সউল ও দিমান্তাকোসের চোট বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তবে কোচ কুয়াদ্রাত দলকে নিয়ে আশাবাদী এবং জিকসনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন যাতে মাঝমাঠ শক্তিশালী হয়।