কৌশিক দত্ত, কলকাতাঃ এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবার ট্রফি নিজেদের নামে করেছে ভারত। যদিও, ট্রফি এখনও হাতে পায়নি টিম ইন্ডিয়া। কারণ ভারতীয় দলের প্লেয়াররা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভির থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার করেছিলেন। আর এরপরেই শোনা যায় যে, PCB চীফ নিজে সেই ট্রফি নিয়ে চলে গিয়েছেন। ঐ ট্রফি কবে মিলবে, কীভাবে মিলবে সেটা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও খবর মেলেনি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও মহসিন নকভিকে শায়েস্তা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আর এরমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে এই আজব ঘটনা সামনে এসেছে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার সাঈদ আজমলের (Saeed Ajmal) একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেখানে আজমলকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘২০০৯ সালের টি২০ বিশ্বকাপ জেতা প্লেয়ারদের পাকিস্তান সরকারের তরফে চেক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়।’ আজমলের এই ভিডিও সামনে আসতেই পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ WhatsApp চ্যাট কীভাবে Arattai-তে ট্রান্সফার করবেন? রইল সম্পূর্ণ প্রসেস
ভাইরাল ভিডিওতে সাঈদ আজমলকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘আমি এটা ভেবেই অবাক যে, সরকারের চেকও নাকি বাউন্স হয়। আমাদের বলা হয়েছিল যে, পিসিবি চেয়ারম্যান বিষয়টি সামলে নেবেন, কিন্তু পরে উনিও এই বলে হাত তুলে নেন যে, এটা সরকারের বিষয়। শেষমেশ শুধুমাত্র ICC-র দেওয়া প্রাইজ মানিই পাই আমরা।’
Pakistan player Saeed Ajmal
Pakistan Prime Minister gave a cheque of 25 lakh rupees because we won the Asia Cup.
But when I went to the bank, they said the government account doesn’t have money.
Mohsin Naqvi Trophy Chori at least pay money to your players Ajmal Shahid Afridi pic.twitter.com/jrHK7Cn1Wu
— Yanika_Lit (@LogicLitLatte) September 29, 2025
২০২৩ সালে নাদির আলির একটি পডকাস্টে সাঈদ আজমল বলেন যে, ‘২০০৯ সালে T20 বিশ্বকাপ জেতার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি পাকিস্তান দলের প্রতিটি প্লেয়ারকেই ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওনার এই ঘোষণায় আমরা সবাই খুশি ছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে চেক দেওয়া হলেও, তা বাউন্স হয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ এর টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন সাঈদ আজমল। ১৯৯২ এর পর ওনার স্পিনে ভরসা করেই পাকিস্তান ১৭ বছর পর ফের বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়। যদিও ২০১৫ সালে ICC তাঁর বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং তাঁর কেরিয়ারও শেষ হয়ে যায়।