কলকাতাঃ ৫৭৭ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হয়েছে এবারের IPL-র মেগা নিলাম (IPl Mega Auction Live)। আজ ২৪ ও আগামীকাল ২৫ তারিখ দুই দিন ধরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বছরের নিলাম। ইতিমধ্যে অনেক ক্রিকেটারই নতুন দল পেয়ে গিয়েছে। দেখুন কোন ক্রিকেটার কোন দলে গেল।
ডেভিড মিলার
সাউথ আফ্রিকান বিধ্বংসী ব্যাটার ডেভিড মিলারকে ৭.৫০ কোটি টাকায় নিজেদের দলে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। মহম্মদ শামির বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে কেনার জন্য ঝাঁপালেও শেষমেশ ১০ কোটি টাকায় শামিকে কিনে নেয় হায়দরাবাদ।
ঋষভ পন্থ
২ কোটি টাকা বেস প্রাইস ছিল ঋষভ পন্থের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ১১.২৫ কোটি অবধি ডাক তুলেছিল। ২০ কোটি ৭৫ লক্ষ অবধি ডাক তোলে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দিল্লি ক্যাপিটলস পন্থের জন্য RTM ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষমেশ ২৭ কোটি টাকা দিয়ে পন্থকে নিজেদের দলে নেয় লখনউ।
মিচেল স্টার্ক
মিচেল স্টার্কের জন্য ডাক তোলে KKR ও মুম্বই। ৬ কোটি পর্যন্ত ডাক তুলে হার মানে মুম্বই। ১০ কোটি ২৫ লাখে হাল ছাড়ে KKR-ও। শেষে ১১.৭৫ কোটিতে স্টার্ককে দলে টেনে নেয় দিল্লি। উল্লেখ্য, গতবারের সবথেকে দামি প্লেয়ার ছিলেন মিচেল স্টার্ক। তাঁকে ২৪.৭৫ কোটি দিয়ে কিনেছিল KKR। এবার তাঁর অর্ধেক দামও পেলেন না তিনি।
শ্রেয়স আইয়ার
২ কোটির বেস প্রাইস দিয়ে শ্রেয়স আইয়ারের দর হাঁকানো শুরু হয়। KKR ১০ কোটি অবধি দর তুলে হাল ছেড়ে দেয়। শেষমেশ পঞ্জাব সুপার কিংস তাঁকে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় নিজেদের দলে নেয়। KKR ছাড়ায় ক্ষতির বদলে উল্টে লক্ষ্মীলাভই হল শ্রেয়সের।
কাগিসো রাবাদা
সাউথ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদার বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য RCB ও গুজরাট টাইটান্স দর হাঁকায়। এরপর মুম্বইও সেই লড়াইয়ে অংশ নেয়। শেষমেশ গুজরাট দল ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় রাবাদাকে নিজেদের করে নেয়।
জস বাটলার
ইংল্যান্ডের তারকা প্লেয়ার জস বাটলারের বেস প্রাইস ২ কোটি ছিল। তাঁকে নেওয়ার জন্য রাজস্থান রয়্যালস উঠেপড়ে লাগলেও ৯ কোটি ৫০ লক্ষ পর্যন্ত দর তুলে হাল ছেড়ে দেয় তাঁরা। পঞ্জাব কিংস বাটলারের জন্য ১৩.৫০ কোটি অবধি দর তোলে। শেষমেশ ১৫.৭৫ লক্ষ টাকায় গুজরাট টাইটান্স বাটলারকে নিজেদের করে নেয়।
আর্শদীপ সিং
আর্শদীপ সিংয়ের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। চেন্নাই, দিল্লি, গুজরাট, বেঙ্গালোর এই তরুণ ভারতীয় পেসারকে দলে নেওয়া জন্য দর হাঁকায়। রাজস্থান ১১ কোটি টাকা দরও তোলে। ১৫.৭৫ কোটি টাকায় আর্শদীপ সিংকে প্রায় নিয়েই নিয়েছিল হায়দরাবাদ। শেষমেশ ১৮ কোটি টাকায় RTM কার্ড ইউজ করে আর্শদীপকে দলে ফেরায় পঞ্জাব।
কেএল রাহুল
কেএল রাহুলের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। কলকাতা নাইট রাইডার্স ও RCB রাহুলের জন্য ডাক তোলা শুরু করে। পরে যোগ দেয় দিল্লিও। KKR নিতে গিয়েও শেষে হাল ছেড়ে দেয়। শেষমেশ ১৪ কোটি টাকায় দিল্লি ক্যাপিটলসের দলে চলে যান কেএল রাহুল।
লিয়াম লিভিংস্টোন
লিয়াম লিভিংস্টোনের জন্য ২ কোটি থেকে দর হাঁকাতে শুরু করে হায়দরাবাদ ও RCB। মাত্র ৪ কোটি পর্যন্তই টিকে ছিল হায়দরাবাদ। এরপর আসরে নামে দিল্লি। RCB-র সঙ্গে লড়াইয়ে না পেরে উঠে তাঁরাও হাল ছাড়ে। এরপর CSK যুক্ত হয়। কিন্তু তাঁরাও শেষমেশ পরাজিত হয়। RCB ৮.৭৫ কোটিতে লিয়াম লিভিংস্টোনকে তুলে নেয়।
মহম্মদ সিরাজ
ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ সিরাজকে পাওয়ার জন্য গুজরাট ও চেন্নাই ২ কোটি টাকা থেকে দর হাঁকানো শুরু করে। ৮.২৫ কোটিতে হাল ছেড়ে দেয় চেন্নাই। এরপর লড়াই হয় গুজরাট ও RR-র মধ্যে। শেষমেশ ১২.২৫ কতই টাকায় মহম্মদ সিরাজকে দলে টেনে নেয় গুজরাট টাইটন্স।
যুজবেন্দ্র চাহাল
যুজবেন্দ্র চাহালকেও দলে নিতে ঝাঁপায় গুজরাট। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় চেন্নাইও। পঞ্জাব কিংস ৬ কোটি থেকে আসরে নামে। চেন্নাই ছেড়ে দেয় হাল। এরপর লখনউ ১.২৫ কোটি দর হাঁকায়। তাঁরাও হাল ছেড়ে দেয় ১৪ কোটিতে। ১৪.৫০ কোটি অবধি আরসিবি লড়াইয়ে থাকার পরো তাঁরাও পরাজিত হয়। শেষমেশ ১৮ কোটিতে পঞ্জাব চাহলকে দলে টেনে নেয়।
হ্যারি ব্রুক
আরেক ইংরেজ তারকা হ্যারি ব্রুকের দর শুরু হয় ২ কোটি দিতে। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে লড়াইয়ে নামে পঞ্জাব কিংস। ৬ কোটি অবধি দর তুলে হাল ছাড়ে CSK। এরপর পঞ্জাবের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় দিল্লির। শেষমেশ ৬ কোটি ২৫ লাখে পঞ্জাবকে হারিয়ে হ্যারিকে নিজেদের দলে নেয় দিল্লি।
দেবদত্ত পদিকল
কপাল পুড়ল টিম ইন্ডিয়ার তরুণ প্লেয়ার দেবদত্ত পদিকলের। দেবদত্ত বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন। প্রথম টেস্টে সুযোগও পেয়েছেন তিনি। তবে আইপিএলের মেগা নিলামে এবার তাঁকে কোনও দলই কেনার আগ্রহ দেখায় নি। ২ কোটি বেস প্রাইসের এই প্লেয়ারের জন্য ডাক তোলেনি কেউই।
এডেন মার্কারাম
সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্কারামও খুব সুবিধা করতে পারেননি। মার্কারাম তাঁর বেস প্রাইস মাত্র ২ কোটি টাকাই পেলেন। তাঁকে দলে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্ট।
রচিন রবীন্দ্র
নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রচিন রবীন্দ্রর বেস প্রাইস ছিল ১.৫ কোটি। চেন্নাই RTM কার্ড ব্যবহার করে রবীন্দ্রকে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিতে চায়। পঞ্জাব পাল্টা ৪ কোটি দর হাঁকে। শেষমেশ আরটিএম ব্যবহার করেই ৪ কোটিতে রবীন্দ্রকে দলে নেয় CSK।
হার্ষাল প্যাটেল
ভারতীয় বোলার হার্ষাল প্যাটেলের বেস প্রাইস ২ কোটি ছিল। সেখান থেকে তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য লড়াইয়ে নামে GT ও হায়দ্রাবাদ। হায়দরাবাদ ৬.৭৫ কোটিতে হার্ষালকে প্রায় নিয়েই নিয়েছিল। সেই সময় পঞ্জাব RTM ব্যবহার করার আগ্রহ দেখায়। SH ৮ কোটির দর হাঁকালে PBKS সরে যায়।
জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের জন্য ২ কোটি থেকে দর হাঁকানো শুরু করে DC। লড়াইয়ে যোগ দেয় LSG ও PBKS। শেষমেশ ৫.৫০ কোটি টাকায় জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে দলে নেয় পঞ্জাব।
রাহুল ত্রিপাঠী
তরুণ ভারতীয় প্লেয়ার রাহুল ত্রিপাঠীকে দলে নিতে তাঁর বেস প্রাইস ৭৫ লক্ষ থেকে দর হাঁকানো শুরু করে CSK। এরপর KKR-র সেই লড়াইয়ে যোগ দেয়। মাঝেই হাল ছেড়ে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। CSK মাত্র ৩.৪০ কোটি টাকায় রাহুল ত্রিপাঠীকে পেয়ে যায়।
বেঙ্কটেশ আইয়ার
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন প্লেয়ার বেঙ্কটেশ আইয়ারের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। তাঁকে দলে নিতে ঝাঁপায় KKR, LSG ও RCB। শেষমেশ সবাইকে হারিয়ে জয়ী হয় KKR ২৩.৭৫ কোটি টাকায় আইয়ারকে দলে ফিরিয়ে আনে KKR।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন
টিম ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও এবার নিলামে উঠেছেন। ২ কোটি টাকা বেস প্রাইস ছিল তাঁর। অশ্বিনকে দলে টানতে ঝাঁপায় CSK, LSG ও RR। অবশেষে ৯.৭৫ কোটি টাকায় অশ্বিনকে নিজেদের করে নেয় CSK।
কুইন্টন ডি’কক-কে ৩.৬০ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে কলকাতা। ফিল সল্টকে ১১.৫০ কোটি টাকায় কিনল RCB। প্রত্যাশা মতো দর পেলেন না ঈশান কিষাণ। মাত্র ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় SRH তুলে নিল তাঁকে। ঈশান কিষাণের প্রায় সমতুল্য দর! ১১ কোটি টাকায় জিতেশ শর্মাকে কিনল বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরু দলে জোশ হ্যাজলউড। ১২.৫০ কোটি টাকায় RCB তে অস্ট্রেলীয় পেসার।