বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিডনি টেস্ট। আর সেখানে ভারতের তারকা পেসার আকাশদীপের অনিশ্চয়তার খবর চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে রোহিত শর্মাদের কপালে। এহেন আবহে বিকল্প হিসেবে হর্ষিত রানাকে পছন্দের প্রথম তালিকায় রেখেছে ভারত।
তবে বর্ডার গাভাস্কার টেস্টে যাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে জল্পনার জল সবচেয়ে বেশি গড়িয়েছে, সেই শুভমন গিলকে (Shubman Gill) নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ল ভারতের। প্রত্যাবর্তরের জল্পনার মাঝেই চিটফান্ড প্রতারণায় নাম জড়ালো ভারতীয় ক্রিকেটারের। ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে সমন পাঠিয়েছে গুজরাত সিআইডি।
প্রতারণার জাল বিছিয়েছিলেন গিল?
আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় যুক্ত থাকার দায়ে অভিযুক্ত ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমন গিলকে সমন পাঠানোর পাশাপাশি আরও 3 ক্রিকেটার, মোহিত শর্মা, সাই সুদর্শন ও রাহুল তেওয়াটিয়ার বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতারণার খবর ফাঁস হয় ভূপেন্দ্র সিংহ জালাকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের পরই।
জালা বলেন, আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত শুভমন গিল সহ 4 ক্রিকেটার পনজি স্ক্যামে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। তবে গুজরাত ক্রিকেটারদের তরফে বিনিয়োগ করা এই অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি। বেশ কিছু রিপোর্ট মারফত খবর, শুভমন গিল পনজি ফ্রড স্কিমে 1.95 কোটি টাকারও বেশি ডিপোজিট করেছিলেন। সূত্র বলছে, গিলের মতো ভুড়ি ভুড়ি অর্থ না ঢাললেও মোহিত শর্মারাও মোটা অঙ্কের অর্থ নিবেশ করেছিলেন বিশেষ স্কিমটিতে।
গ্রেফতার ভূপেন্দ্র সিং জালার হিসেব রক্ষক
চিটফান্ড প্রতারণার খবর কানে আসতেই তদন্ত শুরু করে সিআইডি আধিকারিকরা। উঠে আসে 4 ভারতীয় তরুণ ক্রিকেটারের নাম। জানা গিয়েছে, এই জালিয়াতির ঘটনায় ভূপেন্দ্র সিং জালার অ্যাকাউন্টের হিসেব রক্ষক রুশিক মেহতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই তড়িঘড়ি তাকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত সোমবারই চিটফান্ড প্রতারণার খবরে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্থানে রেড করে গুজরাত সিআইডির অফিসাররা। হাতে আসে চিটফান্ড কাণ্ডের মূল মাথা ভূপেন্দ্র সিং জালার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত একাধিক নথি। এরপরই যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে রেখে বিশেষ সদস্য দল গঠন করে জালার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে চিটফান্ড প্রতারণা কাণ্ডে প্রায় 6 হাজার কোটি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। তবে তদন্ত যত এগোয় অর্থের পরিমাণ ততই কমতে শুরু করে। সদ্য পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে 4 ক্রিকেটার সম্পর্কিত চিটফান্ড কাণ্ডে জালিয়াতির অর্থ 450 কোটিতে এসে ঠেকেছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, তদন্তের সাথে পা মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |