কৌশিক দত্ত, কলকাতাঃ চারের থেকে ছয় মারার প্রবণতা বেশি। ফিনিশার হওয়ার যোগ্যতা। একার দমেই পাল্টে দেয় ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এক তরুণ প্লেয়ার হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) বিকল্প হওয়ার জন্য প্রস্তুত। একবার টিম ইন্ডিয়ায় সুযোগ পাওয়ার জন্য মাঠে করে চলেছেন একের পর এক কীর্তি। তিনি হলেন সুর্যংশ শেদগে। অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে মুম্বইকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেওয়া সুর্যংশ বিদর্ভের বিরুদ্ধেও রণমূর্তি ধারণ করেন। সুর্যংশর ইনিংস এতটাই প্রভাবি ছিল যে, অজিঙ্কা রাহানের ৮৫ রানও তাঁর সামনে ফিকে পড়ে যায়।
২২২ রানের লক্ষ্য পিছু করতে নেমে অজিঙ্কা রাহানের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ভালো পজিশনে ছিল। কিন্তু শতরান পূরণ করার আগেই আউট হয়ে যান কলকাতা নাইট রাইডার্সের সম্ভাব্য অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নেমে সুর্যংশ শেদগে এক ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন।
১৭ তম ওভারে ২৪ রান নেন সুর্যংশ
১৭ তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটার ৬ বলে ২৪ রান নেন। ওই ওভারে সুর্যংশ শেদগে তিনটি ৬ ও একটি ৪ মারেন। এরপর শেষ ওভারে পরপর দুটি ৬ মেরে দলকে জয় এনে দেন। মাত্র ১২ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪ টি ছয় ও একটি ৪ মারেন তিনি। সুর্যংশ শেদগের বিধ্বংসী ইনিংসের জেরে মুম্বই ৬ উইকেটে জয় হাসিল করে নেয়।
বল হাতেও কামাল করেন সুর্যংশ শেদগে
শুধু ব্যাটই নয়, বল হাতেও কামাল দেখান সুর্যংশ শেদগে। ৩ ওভারে ৩৬ রান দিলেও তিনি দু’দুটি উইকেট হাসিল করে নেন। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচেও সুর্যংশ শেদগে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। মাত্র ৮ বলে ৩০ করেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে ২ টি ৪ ও তিনটি ছয় মেরেছিলেন সুর্যংশ শেদগে। এই তরুণ ব্যাটারের উপরে ভর করে সেমিফাইনালের টিকিট অর্জন করেছে মুম্বই।