বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মোহনবাগানে (Mohun Bagan) হতে পারে সৃঞ্জয় বসুর প্রত্যাবর্তন! বাংলা নববর্ষের আবহে বসু পরিবারের এই সুযোগ্যকে নিয়ে শোনা যাচ্ছে নতুন গুঞ্জন। সম্প্রতি বাগানে ফেরার জল্পনার মাঝেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৃঞ্জয় জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য যে মাঠে নেমেছি এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
সারা বছরই আমি দলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখি। গ্যালারিতে বসে সবুজ মেরুনের খেলা উপভোগ করি। তাহলে কি এবার গঙ্গা পাড়ের ক্লাবে দেখা মিলবে সৃঞ্জয়ের? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সবুজ মেরুন জনতা।
মোহনবাগানের জন্য বড় পরিকল্পনা সৃঞ্জয়ের
সৃঞ্জয় বসু যদি মোহনবাগানে ফেরেন তবে দলের হয়ে ঠিক কোন দায়িত্ব নেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বসু পরিবারের এই সুযোগ্য সন্তান। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৃঞ্জয় বলেন, ফুটবলের দায়িত্ব এখন মোহনবাগান সুপার জয়েন্টের কাঁধে।
তাই ক্রিকেট, হকি ও অন্যান্য খেলাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার সময় এসেছে। আমি দায়িত্বে আসলে প্রথমেই ক্লাবের পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করব। সেই সাথে মোহনবাগানের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে সৃঞ্জয়ের।
মোহনবাগানের বার পুজোয় অংশ নিলেন সৃঞ্জয়
ISL কাপ কাঁধে তুলে ভারত সেরা হয়েছে মোহনবাগান। বাগানের সাফল্যের রেশ নিয়েই মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখের দিন বার পুজোয় মেতে ওঠেন ক্লান কর্তারা। এদিন ভবানীপুর ক্লাবের বার পুজোয় দেখা মিলেছিল মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব স্বপ্ন সাধন বসু ওরফে টুটু বসুর ছেলে সৃঞ্জয়ের।
আর এমন ঘটনার পরই বাগান প্রিয় সমর্থকদের অনেকেই মনে করছেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা প্রসূত ক্লাবের পূজোয় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব সম্ভবত আগামী বছর থেকে তিনিই মোহনবাগানের পূজো আয়োজন করবেন।
অবশ্যই পড়ুন: ISL জয়ের পর ফের ভারত সেরা হল মোহনবাগান
মোহনবাগানে সৃঞ্জয়ের প্রত্যাবর্তনে রাজনৈতিক ইঙ্গিত
সম্প্রতি মোহনবাগানের ফাইনাল ম্যাচে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছিল চাপানউতোর। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে লিখেছিলেন, কেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফাইনালে আমন্ত্রণ জানানো হল না?
পরবর্তীতে বাগান প্রধান দেবাশীষ দত্তকে পাশে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে কুণাল লেখেন, দেবাশিসবাবু এফএসডিএলের ওপর চাপ তৈরি করে দেরিতে আমন্ত্রণ জানান। এই ঘটনা সত্যি অনুচিত। এমন আবহের পর কালীঘাটের স্কাইওয়াকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পিছনেই বসে থাকতে দেখা যায় সৃঞ্জয় বসুকে। আর এই ঘটনার পরই বাগান শিবিরে তাঁর প্রত্যাবর্তনের খবর রাজনৈতিক ইঙ্গিতই দিচ্ছে।