বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দিল্লিতে আয়োজিত বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। আর তারই মাঝে চিন্তায় আয়োজকরা। জানা গিয়েছে, রাজধানীতে পথ কুকুরের কামড়ে (Stray Dogs Attack) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই বিদেশি কোচ। গোটা ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লিতে! প্রশ্ন উঠছে, টুর্নামেন্ট ঘিরে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হলো না কেন, তা নিয়েও।
বিশ্ব প্যারা অ্যাটলেটিক্সের মাঝেই রক্তারক্তি কান্ড!
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার কেনিয়ার কোচ ডেনিস মারজিয়া এবং জাপানের কোচ মেইকো ওকুমাতসুরের উপর আচমকা হামলা চালায় দিল্লির পথকুকুররা। জানা গিয়েছে, কেনিয়ার কোচ ডেনিস জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের টুর্নামেন্ট অঞ্চলের বাইরে অ্যাথলিটদের সাথে কথা বলছিলেন। ঠিক সেই সময়ে, হঠাৎ এটি পথপুকুর এসে তাঁকে কামড়ে দেন। এই ঘটনার পর মূল প্রতিযোগিতা অঞ্চলের ঠিক পাশেই ওয়ার্ম আপ ট্র্যাকের কাছে জাপানের কোচ মেইকোকেও ঠিক একইভাবে কুকুরে কামড়ায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পথ কুকুরদের আক্রমণে রক্ত ক্ষরণ হয়েছিল দুই কোচেরই। এরপরই তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কেনিয়ার এক প্রতিনিধি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার সকাল 10টা নাগাদ এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছিল। দিল্লির একটি পথ কুকুর এসে কোচের পায়ে কামড়ে দেয়। তাঁর পা থেকে ক্রমাগত রক্ত ঝরছিল।’ জাপানি কোচের সাথেও একই ঘটনা ঘটায় দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক সূত্রে খবর, বর্তমানে দুই বিদেশি কোচই সুস্থ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার দায় কার?
স্টেডিয়ামে কুকুরের হামলার দায় কার তা নিয়ে দীর্ঘ দড়ি টানাটানি চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই বিদেশি কোচকে পথ কুকুর কামড়ানোর ঘটনায় বিদেশি দলগুলির ওপরই দায় চাপাচ্ছেন আয়োজকরা। তাঁদের দাবি, ‘ বহুবার নিষেধ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও রাস্তার কুকুরদের ডেকে ডেকে খাবার দিচ্ছিলেন তারা। সেই কারণেই খাবারের লোভে কুকুররা বারবার স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ছিল।’
অবশ্যই পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাক সীমান্তে হঠাৎ দেখা মিলল পাকিস্তানি ড্রোনের!
উদ্যোক্তাদের এও দাবি, ‘দিল্লি পৌরসভা পথ কুকুরদের নিয়ে যথেষ্ট সচেতন রয়েছ। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বহু কুকুরকে নিরাপদ জায়গায় পাঠানো হয়েছে। পথ কুকুর নিয়ে সকলেই বেশ সতর্ক।’ আয়োজকদের বক্তব্য ছিল, ‘ ওই দুই বিদেশি কোচ যদি না কুকুরদের খাবার দিতেন, তাহলে হয়তো আজকে তাদের আক্রান্ত হতে হতো না।’ যদিও এই বিষয়টা উড়িয়ে দিয়ে আয়োজকদের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বনে ঘাটতির বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করছে বিদেশি দলগুলি!