বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)! সম্প্রতি BCCI-র তরফে বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে ভারতীয় খেলোয়াড়দের স্ত্রী ও পরিবারের ভ্রমণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ক্রিকেটারদের দীর্ঘ সফরে 45 দিনের পর প্রথম দুই সপ্তাহ বাদ দিয়ে পরবর্তী 14 দিনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারবে। অল্প সময়ের সফরের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা এক সপ্তাহের। এবার বোর্ডের সেই নির্দেশিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে বসলেন ভারতীয় মহাতারকা বিরাট কোহলি!
ভারতীয় বোর্ডের সাথে একমত নন কোহলি?
সদ্য দলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি। আসন্ন জুনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে 5 ম্যাচের টেস্ট রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। মাঝে রয়েছে IPL। আর সেই মহারণে নামার আগে কয়েকটা দিন পরিবারের সাথে ছুটি কাটিয়ে নিচ্ছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এমতাবস্থায়, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরাট। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে RCB তারকা বলেন, বাইরের কঠিন পরিস্থিতি সামলে উঠে পরিবারে ফিরে আসার যে অনুভূতি তা সত্যিই কঠিন।
বিদেশ সফরে পরিবার সাথে থাকলে খেলোয়াড়দের মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। কোহলি আরও বলেন, মানুষ আসলে পরিবারের উপস্থিতির আসল মূল্য উপলব্ধি করতে পারে না। পরিবার সাথে থাকলে খেলোয়াড়দের যে কতটা সুবিধা হয় সে বিষয়ে অনেকেই অজানা। বিরাটের সংযোজন, যখন বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে পরিবারকে দূরে রাখার নির্দেশ আসে তখন যথেষ্ট হতাশ লাগে। যাদের বাস্তবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও ক্ষমতা নেই তাদের এভাবে আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসা ঠিক নয়।
পরিবারের উপস্থিতির আসল মূল্য জানিয়ে দিলেন কোহলি
এদিন RCB-র অনুষ্ঠানে সাহসী মন্তব্য রাখতে গিয়ে বিরাট বলেন, কোনও ক্রিকেটারই বিদেশ সফরে গিয়ে খারাপ পারফরমেন্সের পর একা বসে দুঃখ করতে চায় না। সেই সময় পরিবারের কাউকে পাশে চান খেলোয়াড়রা। বিরাট বলেন, আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই। দেশের হয়ে দায়িত্ব পালন করার পর বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।
অবশ্যই পড়ুন: ছেত্রীর পথেই হাঁটবেন বিরাট! অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি দলে যোগ দিচ্ছেন কোহলি?
এতে দায়িত্ববোধ ও জীবনের ভারসাম্য দুইই ঠিক থাকে। বিরাটের শেষ সংযোজন, খেলোয়াড়দের জীবনে নানান কঠিন পরিস্থিতি আসে, ম্যাচে ব্যর্থতা কিংবা খারাপ ফর্ম সেই সময় পরিবার পাশে থাকলে দুঃসময় সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আর সেই কারণেই আমি পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দ্বিধাবোধ করি না।