সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: স্বল্প বাজেট এবং পারফরম্যান্সে ভরপুর গাড়ি খুঁজছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটিতে চোখ রাখুন। হ্যাঁ, বাজারে এসেছে Bajaj Qute। দাম মাত্র 3.61 লক্ষ টাকা! গাড়িটি এখন ভারতের অন্যতম সাশ্রয়ী সিএনজি চালিত হ্যাচব্যাক হিসেবে বাজারে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। দাম যেমন কম, আবার পারফরম্যান্সেও ভরপুর। এমনকি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও ব্যবহারের সুবিধাও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই। চলুন এই গাড়িটি সম্পর্কিত বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কী আছে Bajaj Qute-এ?
Bajaj Qute মূলত ব্যস্ত শহরের যানজটে ধীরগতি এবং কম জায়গার মধ্যে সহজে চলাচল করার মতো একটি গাড়ি। গাড়িটির গঠন যতটা সরল, ঠিক পারফরম্যান্স ততটাই কার্যকরী। যারা নিত্য অফিস যাতায়াত, রাইড শেয়ারিং বা ছোট পরিবার নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একেবারে পারফেক্ট অপশন।
কেন কিনবেন Bajaj Qute?
প্রথমত, গাড়িটির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। মাত্র 3.61 লক্ষ টাকায় সিএনজি ভ্যারিয়েন্টে এই গাড়িটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই দিক দিয়ে Bajaj Qute নিঃসন্দেহে বাজেটের মধ্যে সেরা একটি গাড়ি।
দ্বিতীয়ত, গাড়িটির ওজন খুব কম হওয়ায় এটিকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি পার্কিং করাও সহজ। বিশেষ করে ভিড়ভাট্টা শহরে যেখানে জায়গার অভাব, সেখানে এই গাড়ি কোনোরকম সমস্যায় ফেলবে না।
তৃতীয়ত, Bajaj Qute-এর যন্ত্রাংশ বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং মেইনটেনেন্স খরচ অনেকটাই কম। যারা দীর্ঘদিন ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে গাড়িটি কিনতে চান, তাঁদের জন্য এটি এক্কেবারে পকেট ফ্রেন্ডলি কার।
চতুর্থত, টাইট লেন, ট্রাফিক জ্যাম, হালকা গতি, এই সমস্ত মিলিয়ে শহরের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে Bajaj Qute।
কাদের জন্য আদর্শ এই গাড়ি?
যারা কলেজ পড়ুয়া বা সদ্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের জন্য এই গাড়িটি হতে পারে সেরা বিকল্প। এছাড়া শহরের মধ্যে যারা বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারির ব্যবসা করেন, তাদের জন্য সেরা হতে পারে গাড়িটি। পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং-এর মাধ্যমে আয় করতে গেলেও এই গাড়িটি সেরা বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সোনার দরে ফের আগুন, পকেটে চাপ ফেলছে রুপোও! দেখুন আজকের রেট
ইঞ্জিন এবং মাইলেজ
বেশ কিছু সূত্র খতিয়ে জানা গেল, Bajaj Qute-তে রয়েছে 216.6 CC লিকুইড-কুলড সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা কিনা 10.83 bhp শক্তি এবং 16.1 Nm টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। ছোট গাড়ি হিসেবে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং শহরের ট্রাফিক ও ছোট রুটে চলাচলের জন্য সেরা বিকল্প গাড়িটি।
এমনকি গাড়িটির সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য মাইলেজ। হ্যাঁ, সিএনজি ভ্যারিয়েন্টে এই গাড়িটি 46 কিলোমিটার প্রতি কেজিতে মাইলেজ দেয়, যা গাড়িটিকে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় আরো একধাপ এগিয়ে রেখেছে। জানা যাচ্ছে, গাড়িটিতে 20.6 লিটার একটি ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে। পাশাপাশি এলপিজি ভার্সনে 9.15 কিলোওয়াট শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।
তাই যারা ব্যস্ত শহরে নিত্য যাতায়াত করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের একটি 4-হুইলার খুঁজছেন, তাদের জন্য চোখ বন্ধ করে এই গাড়িটি হতে পারে সেরা বিকল্প।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |