নয়া দিল্লিঃ ‘হ্যালো ইন্ডিয়া’ … ৩৬০০০ কিমি উপরে মহাকাশ থেকে এই বার্তা এসে পৌঁছল মাটিতে। নিঃশব্দেই ভারত কনজিউমার মোবাইল কমিউনিকেশনে একটি বড়সড় সফলতা অর্জন করল। ভারতে প্রথমবার একটি সাধারণ স্মার্টফোন থেকে মহাকাশে উপস্থিত এক উপগ্রহে মেসেজ পাঠানো হয়, আর তা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পৃথিবীর আরেকটি ফোনে ফেরতও আসে। এটি স্বদেশী রূপে তৈরি এমন ধরণের প্রথম স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ছিল।
ইলন মাস্ক যখন বিশ্বজুড়ে নিজের স্টারলিংক সেটকম সার্ভিস শুরু করার মঞ্জুরির অপেক্ষা করছে, তখনই ভারত নিঃশব্দে এই বড়সড় কীর্তি হাসিল করে নিল। অন্যদিনে সুনীল মিত্তলের ভারতী এয়ারটেলও ওয়ানওয়েব স্পেকট্রামের বিতরণের অপেক্ষা করছেন। তবে সুনীল মিত্তলই নন, রিলায়েন্স Jio ও ইলন মাস্ককে টেক্কা দিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। বড়সড় পরিকল্পনা করছেন খোদ মুকেশ আম্বানি।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রযুক্তির প্রদর্শনী হিসেবে সরকারি কোম্পানি BSNL-এর নেটওয়ার্কে বার্তার ট্রান্সমিশন করা হয়। মহাকাশ আর পৃথিবীর মধ্যে দু’তরফা যোগাযোগকে সক্ষম বানাতে দিল্লির বাইরে একটি ল্যান্ডিং স্টেশনও বানানো হয়েছে। এই যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট লিংক আমেরিকার নামি স্যাটকম কোম্পানি Viasat দিয়েছে। Viasat ডায়রেক্ট টু ডিভাইস পরিষেবার জন্য বিএসএনএলে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই প্রযুক্তির ফলে এবার থেকে কোনও বিশেষ উপকরণ ছাড়াই স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট থেকে মেসেজ পাঠানো সম্ভব হবে।
যদিও বর্তমানে যেই প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হয়েছে, তা SOS বা জরুরি ট্রান্সমিশনের জন্যই ব্যবহার করা যাবে। এরপর এটি সাধারণ মেসেজ, কলিং এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যও উপলব্ধ হবে। ভারতে Viasat এর ম্যানিজিং ডায়রেক্টর গৌতম শর্মা জানিয়েছেন, ভারত আমাদের কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রযুক্তি সেসব এলাকায় বেশি সুবিধা করবে, যেখানে সাধারণত মোবাইল কানেকটিভিটি হয় নেই, নাহলে কম আছে।