যত সময় এগোচ্ছে ততই একের পর এক সাফল্যের সিঁড়িতে উঠছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইতিমধ্যে চন্দ্রযান ৩ থেকে শুরু করে Aditya-L1 সহ আরও বেশ কিছু মিশন পরিচালনা করে শুধুই ভারতই নয় গোটা বিশ্বের কাছে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ISRO। এদিকে ইসরোর গগনযান মিশন নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন মিশনের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সমগ্র দেশবাসী। কিন্তু এবার ইসরো এমন এক কাজ করতে চলেছে যা জানলে চমকে উঠবেন আপনিও।
কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ করাবে ISRO
এবার ‘সূর্যগ্রহণ’ অবধি করতে পারবে ইসরো! কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম সত্যি। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখায়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ESA চুপিসারে এমন এক কাজ করতে চলেছে যা হয়তো ইতিহাসে এর আগে কখনো হয়নি। আর এক বিশেষ মিশনের জন্য ESA-কে সাহায্য অবধি করবে ইসরো। জানা গিয়েছে, ইসরো এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে প্রভা-৩ মিশন চালু করবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের পিএসএলভিতে চালু হতে চলেছে। এই উদ্ভাবনী মিশনে দুটি ছোট উপগ্রহ রয়েছে, একটি করোনাগ্রাফ এবং একটি অকালচারেটর, যা প্রায় ১৫০ মিটার দূরত্বে উড়বে। ইএসএ জানিয়েছে, কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। সোজা ভাষায় বললে মহাকাশে কৃত্রিমভাবে সূর্যগ্রহণ তৈরির লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির Proba-3 মহাকাশযান উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ISRO।
আরও পড়ুনঃ পোয়া বারো কর্মীদের, বাড়তি ছুটির ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! এদিন বন্ধ স্কুল, কলেজও
কৃত্রিম সূর্যগ্রহণ ছাড়াও, মিশনের লক্ষ্য সৌর করোনা এবং সৌর বায়ুর গতিশীলতা অধ্যয়ন করা, যা মহাকাশের আবহাওয়ার ঘটনাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। Proba-3-র লক্ষ্য হল, নিম্ন এবং উচ্চ করোনার মধ্যে পর্যবেক্ষণমূলক ব্যবধান পূরণ করা। প্রভা ৩ মিশন বিজ্ঞানীদের সূর্যের অধরা করোনাকে প্রাকৃতিক গ্রহণের অনুরূপ অধ্যয়ন করতে সাহায্য করবে, যা সৌর গবেষণার জন্য অমূল্য তথ্য সরবরাহ করবে। এই মিশনে ব্যবহৃত দুটি উপগ্রহের মধ্যে রয়েছে একটি ৩৪০ কেজি করোনাগ্রাফ এবং একটি ২০০ কেজি অকালচারেটর।