ভুলেও ChatGPT-কে শেয়ার করবেন না এই ১০ তথ্য, জীবন নিয়ে পড়ে যাবে টানাটানি

Published on:

ChatGPT

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান দিনে ChatGPT কিংবা অন্যান্য এআই চ্যাট-বট আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ হোমওয়ার্ক করে নিচ্ছে, আবার কেউ অফিসের কাজ করছে, কেউ কেউ নিজেদের মনের কথাও শেয়ার করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই এআই টুলস একেবারে নিরাপদ নয়।

কারণ, এগুলি আপনার পার্সোনাল তথ্যও হাতিয়ে নিতে পারে। ভুলবশত কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলেই তার মাশুল চোকাতে হবে গোটা জীবন ধরে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন দশটি জিনিস কখনোই ChatGPT বা কোনো এআই বটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

ব্যক্তিগত তথ্য

নিজের পুরো নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি কিংবা আধার নম্বর, এসব তথ্য যদি কোনো সাইবার অপরাধীর হাতে চলে যায়, তাহলে আপনার সঙ্গে ভয়ংকর প্রতারণা হতে পারে। হ্যাঁ, আপনার কাছে ভুয়ো মেইল, কল সবকিছুই আসতে পারে। তাই এই সমস্ত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

আর্থিক বিবরণ

ChatGPT-কে কখনোই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা ইউপিআই নম্বর শেয়ার করবেন না। এগুলি যদি লিক হয়ে যায়, তাহলে মুহূর্তের মধ্যে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

গোপন কথা

অনেকে একাকিত্বে চ্যাট-বটের কাছে মনের কথা বলে ফেলে। তবে সাবধান থাকুন। এআই কোনো বন্ধুর মতো গোপন কথা রেখে দেবে না। ডেটা লিকেজের মাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে। আর এটিও আপনার জন্য ভয়ংকর ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পাসওয়ার্ড

অফিস, ইমেইল, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড লিখে যদি আপনি ChatGPT-কে দেন, তাহলে আপনার ডিজিটাল চালার চাবি আপনি নিজেই তাকে তুলে দিচ্ছেন। এর ফলে আপনার সব অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

অশালীন কনটেন্ট

কোনো অশ্লীল ছবি, ভিডিও বা বেআইনি কিছু মোটেও ChatGPT-তে আপলোড করবেন না। কারণ এতে শুধুমাত্র আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে তাই নয়, আপনি আইনের আওতায়ও আসতে পারেন।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য

ChatGPT-কে কখনো নিজের রিপোর্ট, প্রেসক্রিপশন বা ইন্সুরেন্স ডিটেল শেয়ার করবেন না। কারণ এআই কোনো ডক্টর নয়। তাই ভুল তথ্য দিতে পারে। তার উপর আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডেটা যদি ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে তার অপব্যবহার হতে পারে।

আইনি মামলার তথ্য

কোনো চুক্তিপত্র, আদালতের মামলা বা ব্যক্তিগত আইনের সমস্যা কোনোভাবেই ChatGPT-কে জানাবেন না। তাহলে ভয়ানক ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ আইনি পরামর্শ শুধুমাত্র আইনজীবির কাছ থেকেই নেওয়া উচিত।

অফিস বা কাজের গোপন তথ্য

অফিসের কোনো রিপোর্ট, ক্লায়েন্টের ডেটা বা ব্যবসায়ীল কৌশল কখনোই চ্যাট-বটে লিখে পাঠাবেন না। এতে কোম্পানির গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে এবং কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ‘আমাকে দেখে ২০০ জওয়ান পালিয়েছে!’ মেয়ো রোডে ভাঙা মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তোপ মমতার

সংবেদনশীল ছবি বা ডকুমেন্ট

পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান কার্ড কিংবা কোনো ব্যক্তিগত ছবি কখনোই কোনো এআই বটে আপলোড করবেন না। ডিজিটাল জগতে মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু চুরি হয়ে যেতে পারে। কারণ এগুলি পুরোপুরি ডিলিট হয় না। ভুল হাতে গেলে ঘটতে পারে ভয়ংকর প্রতারণা।

এমনকি আপনি যদি কোনো জিনিস সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে না চান, তাহলে সেই জিনিস কখনো চ্যাট-বটেও দেবেন না। কারণ এআই কোনো ডায়েরি নয়, বরং এখানে লেখা অনেক তথ্যই গবেষণা বা ট্রেনিং-এর কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥