সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ ভারতের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স (SpaceX) তাদের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক বাজারে নিয়ে আসছে। এটি ইতিমধ্যে রিলায়েন্স Jio এবং Airtel-র সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছে। যদিও ভারত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি। তবে এই পরিষেবা চালু হলে দেশের দূরবর্তী এবং গ্রামীণ এলাকাগুলির ইন্টারনেট ব্যবস্থা এক নতুন মাত্রা পাবে।
স্টারলিংক কী এবং এটি কীভাবে উপকার করবে?
স্টারলিংক হল স্পেসএক্সের একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা বিশেষত দূরবর্তী এবং গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেবে। সাধারণত প্রচলিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ভূপৃষ্ঠ থেকে 35 হাজার কিলোমিটার উচ্চতার জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের উপর নির্ভর করে। যার ফলে ল্যাটেন্সি বেশি হয় এবং ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম হয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলি মাত্র 550 কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে, যা দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার, উন্নত স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং এবং কম ল্যাটেন্সির সুবিধা দেবে।
ভারতে স্টারলিংকের দাম, প্ল্যান এবং ইন্টারনেটের গতি
ভারতের জন্য স্টারলিংকের নির্দিষ্ট মূল্য (Starlink Cost In India) তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেশ কিছু সূত্র বলছে, এটি ফাইবার ইন্টারনেটের তুলনায় অনেকটাই ব্যয়বহুল হবে। প্রাথমিকভাবে প্রথম বছরে আনুমানিক খরচ হতে পারে 1.58 লক্ষ টাকা। তবে দ্বিতীয় বছর থেকে খরচ কিছুটা কমে 1.15 লক্ষ টাকায় দাঁড়াতে পারে।
অন্যান্য দেশের কথা যদি আলোচনা করি, তাহলে কেনিয়ায় প্রতিমাসে 10 মার্কিন ডলার খরচ হবে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে 120 মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং ভুটানে প্রতি মাসে 3000 থেকে 4000 টাকা খরচ হবে স্টারলিংক পরিষেবার জন্য। সূত্র বলছে, ইন্টারনেটের গতি থাকবে 25 Mbps থেকে 220 Mbps পর্যন্ত। যদি ভারতীয় বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামে স্টারলিংক আসে, তাহলে বর্তমান ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সঙ্গে এটি টক্কর দিতে পারে। তবে উচ্চমূল্যের কারণে এদের ব্যবসা কিছুটা তলানিতে ঠেকবে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৭-র মধ্যে হবে সোনার খনি, টাটা গ্রুপের এই স্টক কিনে রাখলে হবে বিপুল লক্ষ্মীলাভ
ভারতের স্টারলিংক কবে লঞ্চ হবে?
ভারতের স্টারলিংক লঞ্চের টাইমটেবিল এখনো স্পষ্ট জানা যাচ্ছে না। কারণ সরকার এখনো অনুমোদন দেয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন আপডেট প্রকাশিত হবে। বেশ কিছু সূত্র বলছে, প্রাথমিকভাবে ট্রায়ালভিত্তিতে চালু করা হতে পারে এই ইন্টারনেট পরিষেবা। সরকারি অনুমোদন আসার পর বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাবে। স্টারলিংক চালু হলে ভারতের টেলিকম কাঠামোতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে, বিশেষত যেখানে এখনো ব্রডব্যান্ড কানেকশন পৌঁছায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |