সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ গোটা বিশ্ব যখন টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য শক্তির সন্ধানে ব্যস্ত, তখনই বাজারে এল এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার – “এনরন এগ” (Enron Egg)। ২০২৫ সালে এটি আবিষ্কার করা হয়েছে এমন একটি প্রযুক্তি হিসেবে, যা দাবি করছে একটি ক্ষুদ্র পরমাণু চুল্লি দিয়ে টানা ১০ বছর বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। তবে এর পিছনে আসল সত্যটা কি? এটা কি সত্যিই ভবিষ্যতের প্রযুক্তি? নাকি নিছকই কোন প্রচারণা? চলুন বিস্তারিত জানি আজকের প্রতিবেদনে।
এনরন এগ: বিপ্লব নাকি বিভ্রান্তি?
২০০১ সালে ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এনরন কর্পোরেশন আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ২০২৫ সালে, যখন তারা ঘোষণা করে “এনরন এগ” নামের নতুন এক পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী যন্ত্রের উদ্ভাবন নিয়ে। এই ডিভাইস সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এটি একটি ছোট্ট পরমাণু চুল্লি, যা একবার ইনস্টল করলে ১০ বছর ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। সবথেকে মজার ব্যাপার হল, কোনরকম রক্ষণাবেক্ষণ বা নতুন জ্বালানির প্রয়োজন এখানে পড়বে না।
নতুন এক যুগের সূচনা!
বর্তমানে এই মহতী আবিষ্কারকে শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। কোম্পানির নতুন সিইও কনর গেইডস একটি বিশাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির উন্মোচন করেন। সেখানে একটি লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন দেখানো হয়, যেখানে সম্পূর্ণ একটি বাড়ি এনরন এগ দিয়ে চালানো হচ্ছিল।
দাবি করা হয়েছে, এটি বিদ্যুৎ বিভ্রান্ত চিরতরে শেষ করবে। এটি ভবিষ্যতের শক্তি, পুরনো গ্রিড ব্যবস্থা একেবারে বাতিল হয়ে যাবে, এমনটাও দাবি করা হচ্ছে। প্রেজেন্টেশনের সময় উপস্থিত দর্শকরা কার্যত অবাক হয়ে যান এটি দেখে। টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এনরন এগের এই উন্মোচনের দৃশ্য মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
এই চমকপ্রদ ঘোষণার পরই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সমর্থকরা বলছেন, এটি হলে সত্যি পরিবেশবান্ধব শক্তির বিপ্লব ঘটবে। তবে সমালোচকরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন। এত বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও এনরন কোম্পানি এর প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিশেষ কিছু এখনও প্রকাশ করেনি। বেশ কিছু সূত্র বলছে, এত ছোট আকৃতির একটা ডিভাইস কীভাবে নিরাপদে পরমাণু শক্তি উৎপাদন করবে? আসলে সেটা সময়ই বলে দেবে।
আসল গল্প জানুন
আসলে এই “এনরন এগ” ছিল একটি সাজানো গল্প। এটির কোন বাস্তব উদ্ভাবন ছিল না। বরং, একটি ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণা, যা বর্তমানে শক্তি খাতের ভুয়া প্রতিশ্রুতি এবং কর্পোরেট লোভের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছিল। আদতে এখনো এনরন কর্পোরেশন পুনর্জীবিত হয়নি। এমনকি জানলে চমকে উঠবেন, কনর গেইডস নামে কোন সিওর অস্তিত্বই নেই।
আরও পড়ুনঃ ভারত বা নেপাল নয়, হিন্দু রাষ্ট্র হবে এই সুপার পাওয়ার দেশ! ভবিষ্যদ্বাণী নস্ত্রাদামুসের
এনরন নামে কোন প্রযুক্তি এখনো তৈরি করা হয়নি। হ্যাঁ, একদম ঠিকই শুনেছেন। এই পুরো প্রচারণার পিছনে ছিল একদল বিজ্ঞাপনী সংস্থা। যারা দেখাতে চেয়েছিল বড় কর্পোরেশনগুলি কীভাবে অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে এবং প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |