সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিনের পর দিন বাড়ছে ইলেকট্রিক যানবাহনে চাহিদা। কারণ একটাই, কম খরচে যাতায়াত আর কম মেইনটেনেন্স খরচ। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। তবে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক গাড়ি কিংবা স্কুটার নয়, বরং এখন মোটরসাইকেলের জগতেও ঝড় তুলছে ইলেকট্রিক প্রযুক্তি। আর সেই দৌড়ে এবার নাম লিখে ফেলল হোন্ডা।
কোম্পানিটি ইউরোপে সম্প্রতি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চ করে ফেলেছে, যেটির নাম Honda WN7। হোন্ডার মূল লক্ষ্য, 2040 সালের মধ্যেই তাদের সমস্ত মোটরসাইকেলকে কার্বন নিউট্রাল করে তোলা। আর এই মডেল সেই লক্ষ্য পূরণের প্রথম পদক্ষেপ তা বলা চলে।
হোন্ডার নতুন আবিষ্কার WN7
প্রসঙ্গত, গত বছর EICMA 2024-এ প্রদর্শিত EV Fun Concept-এর উপর ভিত্তি করেই এই বাইক তৈরি করা হয়েছে। ফান ক্যাটাগরির মধ্যে হোল্ডার এটি প্রথম ফিক্সড ব্যাটারি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল হতে চলেছে। মূলত যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স চান এবং একইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা খুঁজছেন, তাদের জন্য এই মডেল হতে পারে একেবারে সেরা বিকল্প।
@KiwiEV @CliffClavin10 @AlliJB1 Honda unveils new WN7 electric motorcycle – not sure what they’re complaining about, the price looks normal to me – but when compared to what China can do, it’s 100% more https://t.co/SXRoljaQhm
— Mark Philip Rennie (@ESlibrarian) September 17, 2025
রেঞ্জ এবং চার্জিং সুবিধা
জানা যাচ্ছে, এর ব্যাটারিতে একবার ফুল চার্জ দিলেই প্রায় 130 কিলোমিটার চলতে পারবে। আর এতে রয়েছে CCS2 র্যাপিড চার্জিং প্রযুক্তি, যার সাহায্যে মাত্র 30 মিনিটেই 20% থেকে 80% পর্যন্ত চার্জ হয়ে যায়। চাইলে বাড়তি চার্জও করা যাবে। সেক্ষেত্রে 3 ঘন্টার কম সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, পারফরম্যান্সের দিক থেকে এই বাইকটি কোনও দিক থেকেই কম নয়। কারণ হোন্ডা দাবি করছে, এর শক্তি 600cc পেট্রোল ইঞ্জিনের সমতুল্য। টর্কের দিক থেকে এই গাড়িটি 1000cc পেট্রোল বাইকের সমান। ফলে বাইকটিতে হাই পি-আপ আর মসৃণ রাইডিং অভিজ্ঞতা মিলবে রাইডারদের।
ডিজাইন এবং প্রযুক্তি
আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া দিয়ে এই বাইকটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। এতে রয়েছে 5 ইঞ্চির একটি TFT ডিসপ্লে, যেখানে Honda RoadSync সাপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে খুব সহজেই নেভিগেশন, কল কিংবা নোটিফিকেশন দেখা যাবে। পাশাপাশি এর স্লিম বডি, ফিউচারিস্টিক ডিজাইন এবং সাইলেন্ট অপারেশন রাইড আরও আরামদায়ক করে তুলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ ফুচকা খেয়েই বমি-পায়খানা, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৫
প্রসঙ্গত, হোন্ডার WN7 নামের মধ্যেও রয়েছে বিরাট তাৎপর্য। কারণ W মানে Be the Wind, যা বাইকের ডিজাইন স্পিডকে প্রকাশ করে। পাশাপাশি N মানে Naked, যা বাইকের ধরনকে নির্দেশ করছে। আর 7 মানে Output Class, যা এর শক্তি আর ক্ষমতাকে প্রকাশ করছে। তাই এখন শুধুমাত্র ভারতের বাজারে এই মডেল লঞ্চ হওয়ার জন্য আর কিছুদিনের অপেক্ষা।