6G নিয়ে প্রকাশ্যে এল সরকারের নয়া প্ল্যান, যা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, শুনে গর্ব হবে

Published on:

5g to 6g

ডিজিটাইজেশনের যুগে দিন দিন গতিশীল হচ্ছে আমাদের জীবন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে নতুন প্রজন্মের টেলিকম নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা। প্রথমে 2G নেটওয়ার্ক চালু হয় দেশে। তারপর চালু হয় 3G নেটওয়ার্ক। তবে 4G নেটওয়ার্কের জমানায় পুরোপুরি বদলে যায় ইন্টারনেটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ। তবে এখন 5G-র জমানা চলছে। কিন্তু এখানেই থেমে নেই অগ্রগতি। প্রযুক্তির জগতে ভারতের স্থান এবার উন্নীত হবে। কারণ, ইতিমধ্যে আমাদের দেশে 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতের টেলিকম মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একত্রে ভারত 6G অ্যালায়েন্স গঠন করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের 6G প্রযুক্তি চালু এবং তার বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করা। এছাড়াও, ভারত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্লোবাল 6G স্ট্যান্ডার্ডস এবং পেটেন্টের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শেয়ার দখলের লক্ষ্যে কাজ করছে। ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলি আগামী তিন বছরের এই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছে।

6G প্রযুক্তিতে বিশ্বকে চমক দেবে ভারত

সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন যে ভারত 3G, 4G ও 5G-র মতো 6G-র ক্ষেত্রেও বিশ্বকে একটি নতুন দিশা দেখাতে চলেছে। সিন্ধিয়া আরও বলেছেন, “টেলিকম শিল্প আমাদের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতেও মোবাইল সংযোগ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তা ছিল ৯০০ মিলিয়ন, কিন্তু এখন তা বেড়ে ১,১৫০ মিলিয়ন হয়েছে। কারণ মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাও দেশজুড়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও আমরা ২০০ মিলিয়ন থেকে ৯৫০ মিলিয়নে পৌঁছেছি”।

BSNL-কে নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা

BSNL-এর জন্য 4G স্ট্যাক চালু করা হচ্ছে বলে জানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও BSNL 5G-র কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। সিন্ধিয়া বলেছেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ যার নিজস্ব 4G নেটওয়ার্ক রয়েছে। এর মানে হল আমাদের নিজস্ব কোর, রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্কের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব ডেটা সেন্টার রয়েছে। আমরা চাই রোল আউট যত দ্রুত সম্ভব হোক। ভারতও বৈদেশিক মুদ্রা এড়াচ্ছে কারণ পরিষেবার জন্য আমাদের অন্য কোনও দেশের উপর নির্ভর করতে হবে না, যা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক লক্ষণ।”

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X